এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
বাড়ির সামনে ঝোলানো আলোয় সমস্যা দেখে মইয়ে উঠে তা ঠিক করছিলেন প্রৌঢ়। আচমকাই মই থেকে পড়ে যান তিনি। নীচে লোহার গ্রিলের দরজার ছুঁচলো ফলায় গেঁথে যায় হাত! সেটি বার করে ওই প্রৌঢ়কে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাল এসএসকেএম হাসপাতাল।
সূত্রের খবর, গত ১৫ নভেম্বর বেহালার বাসিন্দা বছর ৫৩-র বরুণ অধিকারী বাড়ির আলো ঠিক করছিলেন। তখনই মই থেকে পড়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গেটের ছুঁচলো রড বরুণের হাতের তালু ভেদ করে ঢুকে দুই আঙুলের মাঝখান দিয়ে বেরোয়। রডের কিছুটা অংশ ভেঙেও যায়। যতটুকু অংশ গেঁথে ছিল, সেই অবস্থাতেই ওই প্রৌঢ়কে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যান পরিজনেরা। তড়িঘড়ি প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ অস্ত্রোপচার শুরু করে। বিভাগীয় প্রধান অরিন্দম সরকার জানান, রড ঢুকে ওই প্রৌঢ়ের হাতের টেন্ডন (শক্ত ও মোটা তন্তু, যা দিয়ে মাংসপেশি হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে) কেটেছিল এবং দু’টি হাড় ভেঙেছিল। সব কিছু ঠিক করা হয়েছে।
অন্য দিকে, নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা ২৩ বছরের যুবক সাহিল পালের ডান হাতের একটি আঙুল আটকে গিয়েছিল আবাসনের লিফটে। কেটে পড়ে গিয়েছিল ওই আঙুল। দেরি না করে সেটি নিয়েই মেডিকা হাসপাতালে যান ওই যুবক। সেখানে প্লাস্টিক সার্জন অখিলেশকুমার আগরওয়াল প্রায় ছ’ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে কাটা আঙুল জোড়া লাগান। দিন কুড়ি পরে এখন আঙুলের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে ফিরছে সাহিলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy