প্রবীণ নাগরিকদের অসহায়তার সুযোগে চুরি-ডাকাতি অনেক ঘটেছে। পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি ও নাগরিকদের সতর্কতায় তা খানিক কমেওছিল। কিন্তু এখনও দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য যে একাকী প্রবীণেরাই, একটি প্রতারণার ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এল পুলিশের সামনে।
গত নভেম্বরে বিমা করানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। এই ঘটনায় বুধবার জগদ্দলের নোয়াপাড়া থেকে সন্দীপ সাহাকে গ্রেফতারের পরে তাকে জেরা করে নয়া এক প্রতারণা চক্রের খবর পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এটি বড়সড় প্রতারণা-চক্র। পাণ্ডাদের খোঁজ চলছে। সল্টলেক ও বিধানগর কমিশনারেটে এমন আরও অভিযোগ জমা পড়েছে কি না, দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তিন ধাপে কাজ করে ওই চক্র। মূল পাণ্ডারা প্রথমে অফিস খুলে বসে। যেমন পাঁচ নম্বর সেক্টরে অফিস খোলে সন্দীপ। এখন তা বন্ধ। কমিশনের ভিত্তিতে একটি দল প্রবীণদের মোবাইল ও ঠিকানা সংগ্রহ করতো। সংস্থার মহিলারা ওই নম্বরে যোগাযোগ করতো। এর পরে ভুয়ো নামে এজেন্টদের পাঠানো হত গ্রাহকের বাড়িতে।
পুলিশ জানায়, সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় সল্টলেকের অধিকাংশ প্রবীণেরাই একা থাকেন। আগে তাঁরা ছিলেন চোর-ডাকাতের নিশানা, এখন জাল বিছিয়েছে প্রতারকেরাও। বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা জানান, এই অপরাধ ঠেকাতে কী ভাবে মানুষকে আরও সচেতন করা যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy