Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Job Aspirants

আইনি জটিলতায় আটকে চাকরিতে যোগদান, বিক্ষোভ

দমকল বিভাগের বিভিন্ন স্তরে বহু দিন ধরেই অনেক শূন্য পদ পড়ে রয়েছে। এ দিন যাঁরা চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁরা ২০১৮ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলে দফতর সূত্রের খবর।

A Photograph of fire brigade

ফায়ার অপারেটরের ১২০টি শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু, অতীতে দু’বার চাকরির পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২৪
Share: Save:

নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে অফিসে পৌঁছেও চাকরিতে যোগ দিতে না-পারায় দমকলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার তাঁদের বিরাট জমায়েতকে কেন্দ্র করে মির্জাগালিব স্ট্রিটে দমকল বিভাগের সদর দফতরের সামনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। গোলমাল এড়াতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। যদিও চাকরিপ্রার্থীরা জানান, তাঁরা নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছেন। কোনও গোলমাল কিংবা বিক্ষোভ করতে নয়। চাকরিতে যোগদান করতে না-পারলে তাঁরা সেখানেই শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করবেন। তবে, পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই অবস্থান পরে উঠে যায়।

রাজ্য দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ফায়ার অপারেটরের ১২০টি শূন্যপদ রয়েছে। তারা চাকরি দেওয়ার জন্য তৈরি। কিন্তু, অতীতে দু’বার চাকরির পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন তালিকা প্রকাশ করেছে, যা তাদের জানা ছিল না বলেই দাবি দমকল দফতরের। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘অতীতে একটি প্যানেল তৈরি হওয়ার পরে ৫০০ জনকে নিয়োগপত্র বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। উচ্চ আদালত নতুন করে প্যানেল তৈরি করতে বলে। অতীতে যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেই প্যানেলে তাঁরা রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। চাকরি দিতে আমরাও চাই।’’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দমকল বিভাগের বিভিন্ন স্তরে বহু দিন ধরেই অনেক শূন্য পদ পড়ে রয়েছে। এ দিন যাঁরা চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁরা ২০১৮ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলে দফতর সূত্রের খবর। সদর দফতরে চাকরিতে যোগ দিতে আসা প্রার্থীরা এ দিন জানান, ২০১৮ সালে পরীক্ষার পরে ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল’ (স্যাট)-এ মামলা হয়। স্যাট দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল, নতুন করে তালিকা তৈরি করতে। সেই তালিকা তৈরির পরে ৫০০ জনের বাড়িতে নিয়োগপত্রও পৌঁছে যায়। কিন্তু তার পরে ২০২২ সালে ফের উচ্চ আদালতে মামলা হয়। সম্প্রতি উচ্চ আদালত পিএসসি-কে নির্দেশ দেয়, নতুন করে স্ক্রুটিনি করতে।

এ দিন ওই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, তাঁদের অনেকের মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, তাঁরা কাউকে হেনস্থা করতে কিংবা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে চান না। দ্রুত চাকরিতে যোগ দিতে চান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE