Advertisement
১৯ মে ২০২৪
exhibition

দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী স্কুলে

আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি দেওয়া কিছু দুর্লভ ডাকটিকিটের পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের শতবর্ষে প্রকাশিত ডাকটিকিট অথবা মান্না দে-কে নিয়ে প্রকাশিত ডাকটিকিটও থাকছে এই প্রদর্শনীতে।

দুর্লভ: আজাদ হিন্দ বাহিনীর ছবি, স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেওয়া ডাকটিকিট-সহ আরও অনেক ডাকটিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

দুর্লভ: আজাদ হিন্দ বাহিনীর ছবি, স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেওয়া ডাকটিকিট-সহ আরও অনেক ডাকটিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১১
Share: Save:

ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে ডাকটিকিটের ছবিও। তেমনই কিছু দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী করছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। বিডন স্ট্রিটের ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের বাস্কেটবল কোর্ট ঘিরে এই ডাকটিকিটের প্রদর্শনী চলবে আজ, রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি দেওয়া কিছু দুর্লভ ডাকটিকিটের পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের শতবর্ষে প্রকাশিত ডাকটিকিট অথবা মান্না দে-কে নিয়ে প্রকাশিত ডাকটিকিটও থাকছে এই প্রদর্শনীতে।

প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল জানিয়েছেন, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল স্থাপিত হয় ১৮৩০ সালে। তখন সেটির নাম ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউটশন। তখন স্কুল ও কলেজ সব একসঙ্গেই ছিল। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহাপুরুষেরা পড়েছেন। মান্না দে থেকে শুরু করে আরও অনেক কৃতী মানুষেরা পড়েছেন এখানে। সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা হয়েছে। তাই আমরা তাঁকে স্মরণ করে এই ডাকটিকিটের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। শুধু বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে ডাকটিকিটই নয়, নানা স্মরণীয় ঘটনার ডাকটিকিটও এই প্রদর্শনীতে আছে।’’

করোনা আবহে এই প্রদর্শনী দেখতে পড়ুয়াদের সঙ্গে আসছেন তাঁদের অভিভাবকেরাও। বিভাসবাবু জানান, পড়ুয়া এবং অভিভাবক— প্রত্যেককেই মাস্ক পরে আসতে হবে। প্রদর্শনীতে যাতে ভিড় না হয়, তার জন্য ছোট ছোট দল করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার ওই প্রদর্শনীতে ডাকটিকিটের একটি স্পেশ্যাল কভারও (বিশেষ খাম) প্রকাশ করা হয়। বিভাসবাবু জানান, ওই স্পেশ্যাল কভার প্রকাশ করেন দক্ষিণবঙ্গের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সঞ্জীব রঞ্জন এবং কলকাতার বিশপ পরিতোষ ক্যানিং।

এ দিন দুপুর থেকেই অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই প্রদর্শনীতে এসেছেন। এক অভিভাবক বললেন, ‘‘ডাকটিকিটের এই প্রদর্শনী খুবই শিক্ষামূলক। এ সব ডাকটিকিট ইতিহাসের সাক্ষী, যা সব সময়ে বইয়ে লেখা থাকে না। তাই করোনা-সতর্কতা মেনেই ছেলেকে নিয়ে এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

exhibition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE