সরু গলিতে আটকে দমকলের গাড়ি। বৃহস্পতিবার, পোস্তায়। নিজস্ব চিত্র
পুড়ে ছাই হয়ে গেল একটি কাপড়ের দোকান। বৃহস্পতিবার দুপুরে পোস্তা থানার শিবতলা স্ট্রিটের এই ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন রওনা দিলেও সরু রাস্তার জন্য দু’টি গাড়ি কাছাকাছি পৌঁছতেই পারেনি। শেষমেশ শিবতলা স্ট্রিটের দু’প্রান্তে ইঞ্জিন দাঁড় করিয়ে লম্বা পাইপের মাধ্যমে জল দিতে শুরু করেন দমকলকর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। দমকলকর্মীরাই জানাচ্ছেন, আগুনের তীব্রতা বেশি হলে সরু রাস্তার দরুণ তা নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হত। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনতলা ওই বাড়িটির উপরে কয়েক জন বসবাস করেন। মালিক উজ্জ্বল রায় বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন হিন্দ মোটরের বাসিন্দা সঞ্জীবকুমার ঝা-কে। দোতলায় সঞ্জীববাবুর শাড়ির দোকান। উজ্জ্বলবাবুর কথায়, ‘‘তখন প্রায় ২টো বাজে। স্থানীয় এক জন আমাকে ফোন করে জানান, দোতলায় একটি ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আমি তখন বড়বাজারে ছিলাম। সঞ্জীবকে ফোন করে জানতে পারি, সে রয়েছে হিন্দ মোটরে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দোতলায় উঠে দেখি, ঘর থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দরজা ভেঙে ঢুকতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ি। অন্য বাসিন্দারাই আমাকে উদ্ধার করে মুখে-চোখে জল দেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে জ্ঞান ফেরে।’’
এ দিন দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ঘরের কাছে বসে কেঁদে চলেছেন সঞ্জীব। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় আশি লক্ষ টাকার শাড়ি পুড়ে গিয়েছে।’’
দমকল জানিয়েছে, জায়গাটি একে ঘিঞ্জি। তার উপরে রাস্তা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট মুশকিলে পড়তে হয়। দমকলের অধিকর্তা সমীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বড়বাজার ও পোস্তার বহু দোকানে দমকলের লাইসেন্স নেই। সরু রাস্তায় ইঞ্জিন ঢুকতে না পারায় অতীতে একাধিক বার সমস্যা হয়েছিল। এ দিনও একই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়।’’ দমকলের এক কর্মীর কথায়, ‘‘সামান্য শাড়ির দোকানে আগুন নেভাতে গিয়ে এত সমস্যা হল। আগুনের তীব্রতা বেশি হলে আর দেখতে হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy