আগুন ঘিরে তখন উত্তপ্ত এলাকা। বৃহস্পতিবার, বিধান সরণিতে। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।
ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেন্ট্রাল গেটের ভিতরের বেশ কিছু দোকান। তবে বাইরের ফুটপাথে তখনও ভিড় সামলাতে ব্যস্ত হকারেরা। তার মধ্যে হাঠাৎই দেখা যায় বন্ধ একটি পোশাকের দোকানের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বার হচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি বন্ধ দোকানে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাতিবাগান মার্কেটে। খবর পেয়েই দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। এই ঘটনায় অবশ্য কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দমকল জানিয়েছে, হাতিবাগান মার্কেটের ভিতরে সেন্ট্রাল গেটের কাছে বেশ কয়েকটি পোশাকের দোকান রয়েছে। তার মধ্যে একটি দোকানেই প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি দোকানে। দমকলকর্মীরা প্রথমে বাইরে থেকে কাজ শুরু করলেও পরে দোকানের শাটার ভেঙে আগুন নেভান। স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগানোয় তা বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। দমকলের দাবি, যে দোকানগুলিতে আগুন লেগেছিল সেগুলি বাদে বাকি কোনও দোকানের ক্ষতি হয়নি। তবে রাত পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি দমকল। প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, বন্ধ দোকানের ভিতরে কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লাগে। তবে পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা জানান, হাতিবাগান এলাকার ফুটপাথের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটের একাংশ খোলা থাকাতেই আগুন তড়িঘড়ি চোখে পড়েছে। তাই বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে।
এর আগে এই মার্কেটে আগুন লেগেছিল ২০১৩ সালের ২২ মার্চ। সে বার আগুন লাগে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ। দশ ঘণ্টা পরে, দুপুর দেড়টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুড়ে গিয়েছিল বাজারের ফলপট্টি, আলুপট্টি, চালপট্টি, সবজিপট্টি, শাড়িপট্টি, ফুলপট্টি, তেলপট্টি, মাছপট্টি, বাসনপট্টির দোকানগুলি। সে কথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার আগুনের খবর পেয়েই ১০টি ইঞ্জিন পাঠায় দমকল। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিধান সরণি। ফলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ওই রাস্তায় যানজট হয়। আধঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা মাত্রই অবশ্য রাস্তা খুলে দেওয়া
হয় বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার।
দমকলের ডিভিশনাল অফিসার দেবতনু বসু জানান, আগের বার আগুনে পুরো বাজার পুড়ে গিয়েছিল। তাই এ বার আমরা বেশি দমকলের গাড়ি পাঠিয়েছিলাম। ওই দোকানগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy