পোড়া: আগুন নিভিয়ে ফেলার পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছেলেদের হস্টেলের একটি ঘর। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলাকালীনই বুধবার গভীর রাতে আচমকা আগুন লেগে গেল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছেলেদের হস্টেলে।
যদিও এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন না ওই হস্টেলের আবাসিকেরা। তাঁদের দাবি, তখন হস্টেল খালি ছিল। পিছন থেকে এসে জানলা দিয়ে কেউ আগুন লাগিয়ে গিয়েছেন। কারণ, বুধবার দুপুরে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে এলাকার বেশ কয়েক জন যুবক উইকেট, ব্যাট ও হকি স্টিক নিয়ে হস্টেল চত্বরে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ আবাসিকদের। তাঁদের আরও দাবি, সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া সেই ফুটেজ তাঁরা পুলিশকে তুলে দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ৩৩ লিন্টন স্ট্রিট থেকে ফোন আসে সেখানে আগুন লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঠিকানাটি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র এবং ইন্টার্নদের হস্টেল। খবর পেয়ে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। তত ক্ষণে হস্টেলের বাকি আবাসিক এবং নিরাপত্তারক্ষীরা মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন।
লিন্টন স্ট্রিটের ওই হস্টেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, একতলার পিছন দিকের একটি ঘরে আগুন লেগেছিল। কয়েক জন আবাসিক জানান, ঘরটিতে অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শৌভিক মেটা নামে দু’জন থাকেন। শৌভিক ওই হাসপাতালের ইন্টার্ন। অরিজিৎ সেখানকার চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। দু’জনেরই ঘরে রাখা সব জিনিস পুড়ে গিয়েছে। অরিজিতের দাবি, তাঁর সার্টিফিকেটও পুড়েছে। ওই সময়ে অরিজিৎ, শৌভিক-সহ হস্টেলের বেশির ভাগ আবাসিক কর্মবিরতি পালন করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আবাসিকদের দাবি, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাঁরা হস্টেলে গিয়ে দেখেন, নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্য আবাসিকেরা মিলে তত ক্ষণে আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরেন্সিকের দল গিয়ে ঘর থেকে পোড়া জিনিসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে লালবাজার জানিয়েছে, কোনও বৈদ্যুতিক গোলমালের কারণে এই আগুন লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy