Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

প্যাকেটের খাবারে নজরদারি

ম্যাগি-কাণ্ডের পরে শহরে বিক্রি হওয়া প্যাকেটবন্দি খাবারে নিয়মিত পরীক্ষা চালাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও পুরসভা। শুক্রবার রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে খাবারে ভেজাল রুখতে পুরসভার সঙ্গে যৌথ ভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি চলবে প্যাকেটবন্দি খাবারের নমুনা সংগ্রহের কাজ। তিনি জানান, শুধু প্যাকেটের শুকনো খাবার নয়, বোতলের জলও পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। আজকাল অনেক সংস্থা পানীয় জলের বোতল বিক্রি করছে। তার গুণমান যাচাই করাটাও জরুরি বলে মনে করেন সাধনবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০০:২৫
Share: Save:

ম্যাগি-কাণ্ডের পরে শহরে বিক্রি হওয়া প্যাকেটবন্দি খাবারে নিয়মিত পরীক্ষা চালাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও পুরসভা। শুক্রবার রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে খাবারে ভেজাল রুখতে পুরসভার সঙ্গে যৌথ ভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি চলবে প্যাকেটবন্দি খাবারের নমুনা সংগ্রহের কাজ। তিনি জানান, শুধু প্যাকেটের শুকনো খাবার নয়, বোতলের জলও পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। আজকাল অনেক সংস্থা পানীয় জলের বোতল বিক্রি করছে। তার গুণমান যাচাই করাটাও জরুরি বলে মনে করেন সাধনবাবু।

মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আগামী ৮ জুন পুরভবনের সামনে ভেজাল প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচার শুরু করবেন। মেয়র জানান, পরিষেবার পাশাপাশি শহরবাসী যাতে ভেজাল-মুক্ত খাবার পান, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চায় পুর-প্রশাসন। শহরে ভেজাল খাবার বিক্রি রুখতে এ দিন পুরসভার খাদ্য নিরাপত্তা (ফুড সেফটি) এবং স্বাস্থ্য দফতরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন বিভাগীয় মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি বরোর এগ্‌জিকিউটিভ
হেল্থ অফিসারেরা ভেজাল প্রতিরোধে সাহায্য করবেন।

অতীনবাবু এ দিন জানান, গত কয়েক বছর ধরে অবসরপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক-অফিসার পুরসভার ভেজাল দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। গত ৩১ মে তাঁর ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁর জায়গায় ওই পদে যোগ দিচ্ছেন পুরসভার এক ডেপুটি চিফ মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার দিবাকর ভট্টাচার্য। অন্য দিকে, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, খাবারে ভেজাল রয়েছে কি না যাচাই করতে পুরসভার যে ল্যাবরেটরি রয়েছে, তার মান ভাল নয়। সম্প্রতি পুর-প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই পরীক্ষাগারটি উন্নত করে তোলা হবে। সেই সঙ্গে আগামী এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক মানের পরীক্ষাগার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এ দিকে, পুরসভার সংগ্রহ করা একটি ব্যাচের ‘ম্যাগি’র পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে সরকারের কাছে। তাতে অবশ্য ক্ষতিকর কিছু মেলেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের সংগ্রহ করা রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে জানান সাধনবাবু। পুর-প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তাঁদের সংগ্রহ করা একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের ম্যাগিতে ক্ষতিকর কিছু না মিললেও প্যাকেটবন্দি খাবার সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE