গড়িয়াহাট মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের জেরে হকারদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র
মিটার বাক্সে বিদ্যুতের প্রবাহ আচমকা বেড়ে যাওয়াতেই গড়িয়াহাটের গুরুদাস ম্যানসনে আগুন লেগেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফরেন্সিক রিপোর্টে এই কথাই বলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে মিটারে স্ফূলিঙ্গ বা স্পার্ক তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই আগুন লাগে এবং বিদ্যুতের তার দিয়েই তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে তাপমাত্রা প্রায় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রের দাবি।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বাড়ি থেকে বিদ্যুতের তার গিয়েছিল ফুটপাতের দোকানগুলিতেও। সেই তারের মাধ্যমে তাই আগুন ফুটপাতের দোকানও পুড়িয়ে দিয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘গুরুদাস ম্যানসনের মেন সুইচ এবং পোড়া তার ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাতেও জানা গিয়েছে, আগুন লেগেছিল মিটার থেকেই।’’ এক তদন্তকারীর বক্তব্য, যদি বাইরে থেকে আগুন লাগত, তা হলে ধাতব তারের উপরের আবরণ আগে পুড়ত, পরে ধাতব অংশটি গলে যেত। কিন্তু ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, আগে ধাতব অংশটি গলেছে। অর্থাৎ, আগুন ভিতর থেকে বাইরে এসেছে। যার অর্থ বিদ্যুতের লাইন থেকেই আগুনের উৎস।
তা হলে কি এটা নেহাতই দুর্ঘটনা? এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত উত্তর দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তাঁদের মতে, বাইরে থেকে আগুন লাগানো হয়নি, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তবে ঘটনার পরে ওই বহুতলের কোনও ফায়ার লাইসেন্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাফিলতির একাধিক নমুনাও পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গড়িয়াহাটের মোড়ে ওই বহুতলে আগুন লাগে। দু’টি শাড়ির দোকান এবং ফুটপাতের ১৪টি দোকান পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওই বহুতলের কয়েকটি ফ্ল্যাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন প্রায় ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। পরে দমকল ১৬১বি, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ওই বহুতলের মালিক ও দখলদারদের বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে দমকল-বিধি না মানার পাশাপাশি গাফিলতির অভিযোগও ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy