আটক: সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করছেন দমকলকর্মীরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির নীচের তলায় বেআইনি ভাবে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সিলিন্ডার থেকেই গ্যাস লিক করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াল বুধবার সকালে। এন্টালি থানা এলাকার ক্যানাল স্ট্রিটের ঘটনা। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লিক করা সিলিন্ডারগুলি আটক করে মুচিপাড়া থানায় জমা দেন। চম্পারানি দাস নামে যে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ওই ফ্ল্যাটবাড়ির নীচে বেআইনি ভাবে গ্যাস মজুত করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে এ দিন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই বহুতলের নীচের তলা থেকে গ্যাসের গন্ধ পেতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কে ফ্ল্যাটবাড়ির সমস্ত বাসিন্দারা নীচে নেমে আসেন। চারতলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বাবু আগরওয়াল বলেন, ‘‘এ দিন মর্নিং ওয়াকের জন্য ফ্ল্যাট থেকে নামার সময়েই নীচে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। পরে ফিরে এসে আরও বেশি করে গ্যাসের গন্ধ পাই।’’ অবস্থা বেগতিক দেখে ফ্ল্যাটবাড়িটির কেয়ারটেকার দমকলে খবর দেন। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে ১৫সি ক্যানাল স্ট্রিটে ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের একটি অফিস রয়েছে। অবৈধ ভাবে সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার মজুতও করা হয়। ওই আবাসনের বাসিন্দা বাবুর অভিযোগ, ‘‘গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস খোলার সময়ে মালিক লিখিত ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ওখানে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত থাকবে না। কিন্তু পরে সেই কথা না রাখায় ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে আমরা এন্টালি থানা, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বিধায়ককে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’’
বসতবাড়ি এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রাখা নিয়ে অভিযোগ আগেই জমা পড়লেও তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? স্থানীয় কাউন্সিলর অরুণকুমার দাস বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে ব্যবসা করার কথা সেই সময়ে এন্টালি থানাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ দিনও সকালে গ্যাস বেরোনোর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy