প্রতীকী ছবি
ফাঁকা বাসস্টপে একা পেয়ে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থা করার পরে ক্ষুর বার করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লেক টাউন থানার পুলিশ। রাতের শহরে মেয়েদের নিরাপত্তা ও পুলিশি নজরদারি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে দক্ষিণদাঁড়ি এলাকার একটি বাসস্টপে। তরুণীর দাবি, বাড়ি ফেরার জন্য দমদম থেকে একটি বাসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বাস যে তাঁর বাড়ির রাস্তায় যাবে না, তা তাঁর জানা ছিল না। জানার পরেই দক্ষিণদাঁড়ি বাসস্টপে নেমে যান তিনি। সেখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। তরুণীর অভিযোগ, ওই সময়েই সেখানে আসে এক যুবক। তাঁকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। তখন আশপাশে পুলিশ বা সাহায্য চাওয়ার মতো কাউকে দেখতে পাননি তিনি। তরুণী তখন একটু কৌশলে তাঁর মোবাইল থেকে ওই যুবকের কার্যকলাপ ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন। এর পরে ওই যুবক বাড়াবাড়ি শুরু করলে তিনি তাঁর বাড়িতে এবং এক বন্ধুকে ফোনে বিষয়টি জানান। সেই বন্ধু দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।
তরুণীর দাবি, তাঁর বন্ধু এসে ওই যুবকের মুখোমুখি হতেই চলে আসেন এক পুলিশকর্মী। তিনি ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে চলে যেতে বলেন। তার পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
পুলিশকর্মীর কথা শুনে তরুণী একটি অ্যাপ-ক্যাব বুক করেন। সেই ক্যাব ধরতে রাস্তার উল্টো দিকে যেতেই ওই যুবক পিছু ধাওয়া করে এসে তাঁকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তরুণীর বন্ধু দৌড়ে গিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ওই যুবক তাঁকে লাথি মারে এবং ক্ষুর বার করে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এর পরে ক্যাব এসে গেলে তাতে উঠে বেরিয়ে যান তরুণী ও তাঁর বন্ধু। তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক মত্ত অবস্থায় ছিল।
এর দিন দুই বাদে ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার কথা লেখেন। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজেও বিষয়টি জানান। কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। লেক টাউন থানা তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওই যুবককে এখনও ধরা যায়নি।
ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রাতের শহরে নিরাপত্তা এবং নজরদারি কোথায়? পুলিশের একাংশের অবশ্য দাবি, রাতে নজরদারি চালানো হয়। পুলিশকে ফোনে এমন ঘটনার কথা জানালে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পুলিশকর্তাদের বক্তব্য। শনিবার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ জানান, ঘটনাটির কথা জানার পরে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy