ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে না পেরে হস্টেলেই থেকে গিয়েছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ টাউন ক্যাম্পাসের কিছু পড়ুয়া। যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁদের। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের সেখান থেকে বার করে দিতে বৃহস্পতিবার রাতে হস্টেলের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। এমনকি, মেয়েদের হস্টেলে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। হস্টেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করে জানান, কিছু পড়ুয়া হস্টেল না ছাড়ায় বাধ্য হয়েই ওই পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা।
করোনার জন্য হস্টেল ফাঁকা করতে বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ আবাসিক বাড়ি ফিরে গেলেও কয়েক জন থেকে যান। তাঁদের বক্তব্য, বাড়ি দূরে বলেই ফেরা সম্ভব হয়নি। এক আবাসিক জানালেন, ছেলেদের হস্টেলে ৬০০ জনের মধ্যে ৩০-৪০ জন এবং মেয়েদের হস্টেলে ৪০০ জনের মধ্যে ১০ জন রয়েছেন।
ওই আবাসিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ছেলেদের ও মেয়েদের হস্টেলের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মেয়েদের হস্টেলে কিছু ক্ষণের জন্য তালাও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দু’টি হস্টেলেই রাতভর আলো জ্বলেনি। পরদিন সকালেও বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে পানীয় জলও আসেনি। কর্তৃপক্ষের এ হেন ‘অমানবিক’ আচরণের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। জানিয়ে দেন, হস্টেল কোনও মতেই ছাড়বেন না।
হস্টেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বার বার বলা সত্ত্বেও কিছু আবাসিক হস্টেল ছাড়ছেন না। তাই বাধ্য হয়েই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। হস্টেলের চেয়ারম্যান কাজী মহম্মদ আলফ্রেড বললেন, ‘‘আমরা অমানবিক নই। কিন্তু আবাসিকেরা অসুস্থ হয়ে পড়লে দেখবে কে? ওঁদের ভালর জন্যই বাড়ি যেতে বলা হয়েছে।’’ এ দিন সকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ আসে। পরে দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কাজী মহম্মদ আলফ্রেড জানান, দুপুরেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy