ডেঙ্গি রোগীকে মশারির ভিতর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: পিটিআই।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন ধীরে ধীরে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিললেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। প্রশাসনও সতর্ক রয়েছে। এর মাঝেই কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কত জন ভর্তি, তার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঙুর হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গি ওয়ার্ড। রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষ টিম। নিয়োগ করা হয়েছে এক জন নোডাল অফিসার।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের তিনটি শাখায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চার জন ভর্তি রয়েছেন। ম্যালেরিয়া নিয়ে ভর্তি রয়েছেন এক জন। মাঝে ম্যালেরিয়া রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তবে এখন তিনি স্থিতিশীল।
আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি নিয়ে তিন জন ভর্তি রয়েছেন। এক মাস আগে ভর্তি ছিলেন পাঁচ জন। দিন ১৫ আগে ওই হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক জন ভর্তি ছিলেন। এখন এক জন ডেঙ্গি রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আইসিইউতে ভর্তি।
বাঙুর হাসপাতালে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গি নিয়ে ১০ জন ভর্তি ছিলেন। ওই হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে, যাতে অন্য রোগীদের সঙ্গে তাঁদের থাকতে না হয়। ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসার জন্য নার্স এবং চিকিৎসকদের আলাদা দল তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গি ওয়ার্ডের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ১১ জন রোগী ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তবে তাঁদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চার ডেঙ্গি আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। এই হাসপাতালেই গত সপ্তাহে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধ।
এখনও পর্যন্ত শহরে ওই বৃদ্ধ-সহ ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। ২১ জুলাই কলকাতার হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার বয়স ছিল ৪৫। বেলেঘাটার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত শনিবার শহরে ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছে ১০ বছরের এক বালিকা। শনিবার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে তার বাড়ি ছিল। লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছরের এক মহিলার। তিনি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর জ্বর এবং অন্য উপসর্গ ছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। গত ২১ জুলাই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy