যুযুধান। সোমবার, বারাসত কলেজে। নিজস্ব চিত্র
বৃহস্পতিবারের পরে ফের সোমবার। বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ পরিচালনার ‘রাশ’ তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। বৃহস্পতিবার এক পক্ষ মার খেয়েছিল। সোমবার পাল্টা মার দিল অন্য পক্ষ। মোটরবাইকে লাগানো হল আগুন। মারধরে জখম হয়ে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি, কলেজের ছাত্র সংসদের বর্তমান ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, সহকারী সাধারণ সম্পাদক-সহ কয়েক জন ছাত্র। এ দিন সংঘর্ষের পরে বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্ব পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আটক হয়েছে কয়েক জন ছাত্রও।
চলতি মরসুমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বারাসতের ওই কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হয় তৃণমূল। কিন্তু ছাত্র সংসদে কারা ক্ষমতায় থাকবে তা নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। তৃণমূলেরই উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি পারমিতা সেন এবং বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ শহর তৃণমূল সভাপতি চয়ন দাসের মধ্যে। চয়ন শিবিরের ছাত্রছাত্রীরা ছাত্র সংসদের ক্ষমতা ধরে রাখলেও তাঁকে সম্প্রতি শহরের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার পারমিতার শিবিরের পড়ুয়ারা কলেজ ইউনিটের একটি প্যানেল জমা দেবার পরে ছাত্র সংসদের ছেলেরা তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। জখম হন পাঁচ জন ছাত্র। তারই পাল্টা হিসেবে এ দিন পারমিতা শিবিরের ছেলেরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ।
কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাই এ দিন জানান, দুপুর ১টা নাগাদ হইহই করে কলেজে ঢুকে পড়ে প্রায় ৫০-৬০ জন। বেশির ভাগই পড়ুয়া নয় বলে অভিযোগ। লাঠি, উইকেট নিয়ে শুরু হয় মারপিট। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেন বারবার গোলমাল হচ্ছে কলেজে? কী ভাবে ঢুকছে বাইরের ছেলেরা?—প্রশ্ন করা হলে এ দিন অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রবীর সেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy