Advertisement
১৭ মে ২০২৪

প্রতারণার ফাঁদে খোদ পুলিশকর্তা

দেবাশিসবাবুর কাছে হরিয়ানা থেকে ফোন এসেছিল। তিনি তদন্তকারীদের জানান, ফোনে তাঁর বিমা নম্বর, প্রিমিয়ামের হিসেব— সব বলে দেওয়া হয়। তাতেই বিশ্বাস জন্মায় তাঁর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৫
Share: Save:

কাজের ক্ষেত্রে বাঘা বাঘা প্রতারকদের পাকড়াও করেন তিনি। এ হেন দুঁদে আইপিএস অফিসারকে ঠকিয়েই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিল এক প্রতারক। এ নিয়ে অভিযোগের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ জানায়, দেবাশিস ধর নামে ওই আইপিএস অফিসার রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রথম ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডান্ট। থাকেন পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার এক আবাসনে। তাঁর অভিযোগ, মধু ভাটোনা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন। ওই সংস্থায় তাঁর বিমা রয়েছে। প্রিমিয়াম দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার পরে গত সপ্তাহে প্রিমিয়াম হিসেবে প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা নেট ব্যাঙ্কিং মারফত ওই অভিযুক্তের বলে দেওয়া অ্যাকাউন্টে জমা দেন দেবাশিসবাবু। কিন্তু পরবর্তী কালে বিমা সংস্থার কাছ থেকেই তিনি জানতে পারেন, কোনও প্রিমিয়াম জমা পড়েনি। তা দেখেই পুলিশকর্তা বুঝে যান, প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

দেবাশিসবাবুর কাছে হরিয়ানা থেকে ফোন এসেছিল। তিনি তদন্তকারীদের জানান, ফোনে তাঁর বিমা নম্বর, প্রিমিয়ামের হিসেব— সব বলে দেওয়া হয়। তাতেই বিশ্বাস জন্মায় তাঁর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে দেবাশিসবাবুর অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখান থেকেই কোনও ভাবে তথ্য পেয়েছে অভিযু্ক্ত। যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, তার তথ্যও নিয়েছে পুলিশ। ওই টাকা কোথায় তোলা হয়েছে, তা-ও দেখা হচ্ছে। পুলিশের একাংশের মতে, এই ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনায় পুরো টাকা কোনও একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয় না। বরং তা বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সিসি ক্যামেরাহীন এটিএম কাউন্টার থেকে তা তুলে নেওয়া হয়। তাই অপরাধীদের ধরা কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE