(বাঁ দিকে) মিতালি সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর কর্তারা। মিতালি সাহা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি সাহার বাড়িতে হানা দিল আয়কর কর্তাদের একটি দল। কুমোরটুলির কাছে মদনমোহন স্ট্রিটে মিতালির বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছন আয়কর কর্তারা। দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চলছে। মিতালির বাড়ির নীচে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই সংস্থাতেই মূলত হানা দিয়েছে আয়কর দফতরের দলটি। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা এ ব্যাপারে বিশদে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁদের এক জন জানিয়েছেন, তিন তলা বাড়িটির সব জায়গাতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর কর্তারা।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, সঙ্গতিহীন আয়-ব্যয়ের সূত্রেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুধু মিতালির বাড়ি নয়, আনন্দপুর, আলিপুর-সহ কলকাতার মোট ১০টি জায়গায় আয়কর কর্তারা হানা দিয়েছেন বলে খবর। একটি বিজ্ঞাপন সংস্থাকে কেন্দ্র করেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে মিতালির যোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
ভোটের মধ্যে দলের কাউন্সিলরের বাড়িতে আয়কর হানাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ হিসেবে দেখতে এবং দেখাতে চাইছে তৃণমূল। শাসকদলের অন্যতম মুখপাত্র তথা কলকাতার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আয়কর কর্তারা কোথাও হানা দিতেই পারেন। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে সময়গুলো বড় অদ্ভুত। গত ১২ জানুয়ারি তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। সেই সময়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তাপস বরাহনগর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। তার পর তাপস বিজেপিতে গেলেন। এই হানাগুলো হচ্ছে বিজেপির ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’। ‘অ্যাকসেপ্ট’ করলে তাপস রায়, না করলে অরবিন্দ কেজরীওয়াল।’’ অরূপের বক্তব্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে হারাতে পারবে না জেনে বিজেপি এজেন্সিকে ব্যবহার করছে । ঘটনাচক্রে, উত্তর কলকাতার এই তৃণমূল কাউন্সিলর দলের অন্দরে ‘সুদীপ-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy