— প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় আবারও মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্তের। সোমবার শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে এর আগেও মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মৃতের নাম অহিদুর রহমান। বয়স ২৩ বছর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র। অহিদুরের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। ৩ সেপ্টেম্বর মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অহিদুর। সোমবার বিকেলে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির পাশাপাশি সেপসিস উইথ সেপটিক শক, যকৃৎ বিকল হওয়ার কথা লেখা রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবককে যখন ভর্তি করানো হয়, তখনই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল এবং আবাসনে মশার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের শেষে ফিরহাদ এই নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কী করব? একজন দায়িত্বশীল উপাচার্য বা একজন দায়িত্বশীল সুপারকে কি নোটিস পাঠাব? কত বার সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে ভাবে আবর্জনা পড়ে থাকে, সেগুলি পরিষ্কারের বিষয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হয় না। আমরা গিয়ে পরিষ্কার করি। আবার গিয়ে আমরা সচেতন করব।’’
শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। শনিবার দক্ষিণ দমদমে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। কিশোরীর নাম মধু সিংহ। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর শংসাপত্রে ‘ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম’ এবং ‘ডেঙ্গি হেমারেজ়িক ফিভার’-এর উল্লেখ রয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বহু জেলাতেই বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। গত সপ্তাহে চন্দননগর ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বনগাঁর মহকুমা হাসপাতালে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছিলেন বাগদার বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy