ফাইল চিত্র।
কলকাতা শহরের যে সব বাড়ি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলির সম্পত্তিকর বেশি। ফলে ওই সব বাড়ি ভাড়া নেওয়ার লোক পাওয়া যায় না। যার জন্য সেগুলি থেকে কর আদায়ের পরিমাণ কমছে। সমস্যার সমাধানে করের পরিমাণ কিছুটা কমানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে পুর প্রশাসন। বুধবার এ কথা জানান সম্পত্তিকর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
এ দিন রাজ্যের বিল্ডিং নির্মাতাদের একটি সংগঠন ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে দেখা করে। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতায় বাণিজ্যিক সম্পত্তিকর দেশের অন্য মেট্রো শহরের তুলনায় বেশি। সেই কারণে এখানে অনেক বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকে। বাড়ির মালিকও সময়ে কর দিতে পারেন না। এই বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত তা জানার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার কর মূল্যায়ন দফতরের চিফ ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠক করবেন অতীনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক সম্পত্তিকর কলকাতার থেকে কম। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় বাণিজ্যিক ভবনগুলিতে সম্পত্তিকর-কাঠামো কমানো যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। তবে অন্য শহর আর কী কী সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা-ও কর কাঠামো কমা-বাড়ার উপরে নির্ভর করে।’’
তিন বছর হল কলকাতা পুরসভায় এলাকাভিত্তিক পদ্ধতিতে কর আদায় শুরু হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থায় নির্ধারিত কর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন ডেপুটি মেয়র। তাঁর কথায়, ‘‘করের বোঝা চাপিয়ে আদায় বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য নয়। ন্যায্য কর হলেই আদায় বাড়ে।’’ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy