ঘরছাড়া। ফাইল চিত্র।
বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে তৃতীয় দফার সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের ঠিক ১ মাস ১০ দিন পরে ঘরছাড়া কয়েকটি পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা, ‘কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর এসপ্লানেডের সাইট অফিসে ১১টি পরিবার ও ৬টি দোকান তথা বাণিজ্যিক সংস্থার হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
গত ১৪ অক্টোবর বৌবাজারে মেট্রোর পূর্ব এবং পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের সংযোগকারী পথ তৈরি করার সময়ে সেখানে জল ঢুকে যায়। জলের তোড়ে আচমকা মাটি ধুয়ে যাওয়ায় মদন দত্ত লেন সংলগ্ন কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরে। তড়িঘড়ি ৩২টি পরিবারের ১৯৫ জন বাসিন্দাকে হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসিন্দাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ে ওই ঘটনার ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরে মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে নবান্নে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, একটানা ৩০ দিন ঘরছাড়া থাকতে হয়েছে, এমন বাসিন্দাদেরই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে।
সেই মতো জমা পড়া একাধিক আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে মেট্রোর তরফে এ দিন ১১টি পরিবারের প্রত্যেককে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। দোকান এবং ব্যবসায়িক সংস্থা মিলিয়ে আরও যে ছ’টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে চার জনকে দেড় লক্ষ টাকা করে এবং দু’জনকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় বলে মেট্রো সূত্রের খবর। আরও কিছু আবেদনপত্রের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এ দিন জানান কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রশাসনিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার অজয়কুমার নন্দী।
গত ১৪ অক্টোবর ৩২টি পরিবারের ১৯৫ জন ঘরছাড়া হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন মেরামতির পরে তাঁদের আগের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। আরও প্রায় ১৬০ জন বাসিন্দা এখনও হোটেলেই রয়েছেন বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
ওই বিপর্যয়ের পরে এখনও কাজ বন্ধ রেখেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের বিশেষজ্ঞেরা বৌবাজারের দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে গেলেও তাঁরা এখনও রিপোর্ট দেননি বলে মেট্রো সূত্রের খবর। ওই রিপোর্ট হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy