অবশেষে মেট্রোর প্রশাসনের দিকে নজর দিল রেল বোর্ড।
প্রায় তিন বছর খালি ছিল মেট্রো রেলের সর্বোচ্চ পদটি। অবশেষে জেনারেল ম্যানেজারের ওই পদে স্থায়ী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন অশ্বিনীকুমার কপূর। দু’এক দিনের মধ্যেই তিনি যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
নিত্যদিন মাঝরাস্তায় মেট্রো আটকে যাওয়ার ঘটনা চলতে থাকায় ওই খালি পদ পূরণের দাবি উঠেছিল। এতদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম মেট্রোয় অস্থায়ী জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন। অশ্বিনী ছিলেন পশ্চিম-মধ্য রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। মেট্রোর রেকে মূলত বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা মাথায় রেখেই তাঁকে এই পদে আনা হচ্ছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর।
এ দিকে, অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে এত দিন মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিকের পদ সামলাচ্ছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। এই পদে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অফিসার ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ করল রেল বোর্ড।
এক দিকে যান্ত্রিক ত্রুটি, অন্য দিকে প্রশাসনিক দুর্বলতা— দু’য়ে মিলেই বারবার থমকে যাচ্ছিল মেট্রোর গতি। অবস্থা বেশি খারাপ হয় ২০১২-১৩ সালের পরে। তখন থেকেই মেট্রোর প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদটি ফাঁকা ছিল। অস্থায়ী এক জন থাকলেও সঠিক দেখভালের অভাবে হাল আরও খারাপ হতে থাকে। স্থায়ী জেনারেল ম্যানেজার নিয়োগ হওয়ায় এ বার মেট্রো অক্সিজেন পাবে বলে মত রেলকর্তাদের একাংশের।
সড়কপথে যান চলাচল ব্যবস্থা এতই করুণ যে কলকাতার লাইফলাইন এখন মেট্রো। কিন্তু গত কয়েক বছরের দুর্দশা দেখে কমে গিয়েছে যাত্রীসংখ্যাও। অনেকে আবার সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার ভয়েই যাতায়াত করছেন সড়কপথে।
মেট্রো সূত্রে খবর, রেকের সমস্যাই এখন প্রধান। বেশির ভাগেরই আয়ু ফুরিয়ে গিয়েছে। কোনওমতে সেগুলি চালানো হচ্ছে। আবার বাতানুকূল রেকগুলি প্রোটোটাইপ হওয়ায় নিত্যই তাতে ত্রুটি বেরিয়ে আসছে। নতুন রেক আসতে আরও দু’বছর। ফলে সেই সময় পর্যন্ত যাতে জোড়াতাপ্পি দিয়েও চালানো যায়, এখন সেই চেষ্টাই করছে মেট্রো রেল বোর্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy