ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা শহরের ফুটপাত নিয়ে এ বার কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বেশ কিছু অভিযোগ পান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরে ফুটপাত নিয়ে কলকাতা পুরসভার কয়েকটি কড়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণাও করে দেন তিনি।
কলকাতার ফুটপাতে থাকা মানুষজনের জন্য রাতের আশ্রয় শিবির গড়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শহরের ফুটপাতে অনেকেই থাকছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এসেছে মেয়র ফিরহাদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় অদ্ভুত ভাবে পরিবার নিয়ে কিছু কিছু মানুষ থাকছেন। আগে ফুটপাতে থাকত রাগ পিকার্সরা (কাগজকুড়ানি)। তাঁদের রাতে থাকা খাওয়ার ও অসুখ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাটাও আমাদের কাজের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু আমি নিজে গাড়ি থেকে নেমে খোঁজ নিয়েছি, এঁরা রাগ পিকার্স নন, এঁরা স্ক্র্যাপ সেলার (যাঁরা লোহালক্কড় বিক্রি করেন)। এঁরা সংগঠিত গ্রুপ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাতেই এঁদের কাজকর্ম হয়। স্ক্র্যাপ লোডিং আনলোডিং হয়। সেই কাজের জন্য তাঁরা রাতের বেলা ফুটপাত দখল করে শুয়ে থাকেন। আমি কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেব যে, এঁদের ফুটপাত থেকে তুলে যাতে কাছের রাতের আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফুটপাত দখল করে কোনও ভাবেই ব্যবসা করা যাবে না।’’
এ ক্ষেত্রে মেয়র বেশ কিছু এলাকার নামও উল্লেখ করেছেন। আলিপুর, সাদার্ন অ্যাভিনিউ মোড়, গুরুদ্বার পার্ক, মহম্মদ আলি পার্কের কাছাকাছি এলাকা, মর্ডান হাই স্কুলের উল্টো দিকে এই ধরনের ফুটপাত দখলের ঘটনা চোখে পড়েছে তাঁর। এ ছাড়াও, হকারদের জন্যও কড়া কথা শুনিয়েছেন মেয়র। তিনি জানিয়েছেন, ফুটপাতে থাকা হকাররা কোনও ভাবেই প্লাস্টিক টাঙাতে পারবেন না। এমনকি, স্টোভ জ্বালিয়েও কাজকর্ম করতে পারবেন না তাঁরা। এ ছাড়াও, ফুটপাতে ইমারতি দ্রব্য রাখা যাবে না। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ইমারতি দ্রব্য-সহ অন্য যে কোনও ধরনের জিনিস ফুটপাথে রাখা হলে, তা বাজেয়াপ্ত করবে কলকাতা পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy