ভাগাড়ের মরা পশুর মাংসের পর এ বার মরা মুরগি। নিউটাউনে সিটি সেন্টারের পিছনে একটি খামারে হানা দিয়ে প্রায় একশো কেজি মরা মুরগির মাংস উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, লেকটাউন, এয়ারপোর্ট-সহ উত্তর শহরতলির বিভন্ন জায়গায় নামী রেস্তরাঁতে এই মরা মুরগির মাংস সরবরাহ করা হত। খামারের মালিক-সহ ১০ কর্মচারীকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ওই খামারে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন।
শুক্রবার সকালে এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর এলাকার কিছু বাসিন্দার তৎপরতায় গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি রেস্তরাঁ খোলা হয়েছিল। সেই রেস্তঁরার খাবার খেয়ে এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। ওই রেস্তরাঁয় যিনি মুরগি সরবরাহ করতেন, এ দিন সকালে তিনি সেখানে পৌঁছলে স্থানীয়রা তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৭০ কেজি মরা মুরগির মাংস উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট থানায়। স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস মজুমদারও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
দোকানের মালিক কওসর আলি ঢালি এবং সরবরাহকারী যুবককে নিয়ে নিউটাউনের ওই খামারে হানা দেয় পুলিশ। জানা যায়, ওই রেস্তরাঁর মালিকেরই সম্পত্তি ওই মুরগির খামারটি। প্রায় এক বিঘে জমির উপর এই খামা
ফ্রিজার ভর্তি মরা মুরগির মাংস।
ওই খামারে তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ৫০টি রেস্তরাঁর একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। ওই রেস্তরাঁগুলিতে এই খামার থেকে মুরগি সরবরাহ করা হত। জেরায় কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছে, টাটকা মাংসের সঙ্গে পচা মাংস মিশিয়ে দেওয়া হত। এই রেস্তরাঁর তালিকায় প্রায় ডজনখানেক নামী রেস্তরাঁ রয়েছে যেখানে এই খামার থেকে মাংস সরবরাহ করা হত।
এই খামার থেকেই উদ্ধার হয় মরা মুরগির মাংস।
তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, খামার মালিকের সঙ্গে রেস্তরাঁ কর্মী বা মালিকদের কোনও যোগসাজশ ছিল কি না। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার পক্ষ থেকে এয়ারপোর্ট এলাকার বেশ কিছু খাবারের দোকান এবং রেস্তরাঁয় হানা দেওয়া হয় খাবারের মান পরীক্ষা করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy