Advertisement
২৭ মে ২০২৪

‘ওখানে কে আছে? কার সঙ্গে থাকব?’

দু’সপ্তাহ আগে উলুবেড়িয়ার এক পথ দুর্ঘটনায় নবনীতার স্বামী প্রীতম সাহা ও একমাত্র সন্তান শিবম সাহার মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০২:৩২
Share: Save:

আজ, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে কলকাতা পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষের মেয়ে নবনীতা সাহাকে। কিন্তু মুরারিপুকুর লেনের বাড়িতে আর ফিরতে চান না নবনীতা। তাঁর একটাই প্রশ্ন, ‘‘ওখানে কে আছে? কার সঙ্গে থাকব?’’

দু’সপ্তাহ আগে উলুবেড়িয়ার এক পথ দুর্ঘটনায় নবনীতার স্বামী প্রীতম সাহা ও একমাত্র সন্তান শিবম সাহার মৃত্যু হয়েছে। কিছু দিন পরে নবনীতার মা তথা বাপি ঘোষের স্ত্রী মধুমিতা ঘোষও মারা যান। মুরারিপুকুর লেনের বাড়িতে স্বামী-পুত্রের সঙ্গে থাকতেন নবনীতা। চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে শনিবারই স্বামী-পুত্র ও মায়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে ওই তরুণীকে। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকে একেবারেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

তবে পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ন’টি অস্ত্রোপচারের পরে নবনীতার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। কিন্তু মুরারিপুকুর লেনের বাড়িতে আর ফিরতে নারাজ তিনি। বাপিবাবুর সঙ্গে বাগবাজারের বাড়িতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন নবনীতা।

স্বামী-পুত্রের পারলৌকিক কাজের সময়ে নবনীতা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে কিছু জানানোও হয়নি। কিন্তু বাপিবাবু জানাচ্ছেন, নবনীতা নিজেই তাঁর মায়ের পারলৌকিক কাজে উপস্থিত থাকতে চেয়েছেন। বুধবার, মধুমিতাদেবীর পারলৌকিক কাজ। স্ত্রীর কাজের আগেই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান বাপিবাবু।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল রাতে কোলাঘাটের একটি ধাবা থেকে ফেরার পথে উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন নবনীতা। সেই থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

নবনীতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটলেও তাঁর মানসিক অবস্থা এখনও চিন্তায় রেখেছে তাঁর পরিবারকে। বাপিবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এই আঘাত সামলাতে ওর সময় লাগবে। আমি বাবা হিসেবে যতটুকু পারি, করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

accident bapi ghosh nabanita saha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE