হাওড়া স্টেশন এবং সংলগ্ন রেল ইয়ার্ডের জল কোথা থেকে মিলছে, রাজ্য জল অনুসন্ধান পর্ষদ (স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডাইরেক্টরেট বা সুইড) এবং কেন্দ্রীয় ভূ-জল পর্ষদের কাছে তা জানতে চাইল জাতীয় পরিবেশ আদালত। হাওড়া স্টেশন চত্বরের দূষণ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বুধবার বিচারপতি সোনম ফিন্তসো ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য নাগিন নন্দা জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলি খতিয়ে পরিদর্শন করার পরে এই রিপোর্ট দেবে। ওই দুই সংস্থাকে মামলায় যুক্ত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুভাষবাবু জানান, হাওড়া স্টেশনে এবং ইয়ার্ডে পানীয় জল, শৌচাগার ও সাফাই করার জন্য কয়েক লক্ষ গ্যালন জলের প্রয়োজন হয় প্রতি দিন। এই জল কোথা থেকে আসছে, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। প্রয়োজনীয় জল সরবরাহের জন্য পুরনো স্টেশনগুলির কাছে বড় ঝিল বা জলাশয় তৈরি করা হত। সেই জলেই অনেকটা কাজ হত। কিন্তু হাওড়া স্টেশনের কাছে তেমন কোনও জলাশয় নেই। এখন এই কাজের জন্য গঙ্গার জল ব্যবহার করা হয় কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্রে জলের উৎসের কথা উল্লেখ করা নেই। ফলে নির্বিচারে ভূগর্ভের জল তোলা হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।
বস্তুত, হাওড়া স্টেশনে প্লাস্টিক-সহ নানা ধরনের দূষণের অভিযোগ বারবার উঠেছে। যাত্রীদেরও অভিযোগ, স্টেশন চত্বরে মারাত্মক দূষণ রয়েছে। কিন্তু এ সবের মধ্যেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে সম্প্রতি ‘গ্রিন বিল্ডিং’-এর তকমা পেয়েছে হাওড়া স্টেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy