স্বামী প্রীতম ও ছেলে শিবমের সঙ্গে নবনীতা। ছবি:ফেসবুক থেকে
এতদিন তিনি বারবার জিজ্ঞেস করেছেন বাকিদের কথা। কিন্তু তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। কারণ, তাঁর নিজের শারীরিক অবস্থাই ভাল ছিল না। এখনও তিনি হাসপাতালে, তবে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাই শনিবার উলুবেড়িয়ার দুর্ঘটনা সম্পর্কে সব কথাই জানানো হল কলকাতা পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষের মেয়ে নবনীতা সাহাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একই সঙ্গে একমাত্র সন্তান শিবম সাহা, স্বামী প্রীতম সাহা ও মা মধুমিতা ঘোষের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে ঘুমের ওষুধ দেন।
নবনীতা এখনও বাইপাস সংলগ্ন এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিন চিকিৎসকদের উপস্থিতিতেই উলুবেড়িয়ার দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, পুরো ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নবনীতা প্রবল কান্নাকাটি শুরু করেন।
হাসপাতালের তরফে পরিবারের লোকজনকে সারাক্ষণ কাছে থাকতে বলা হয়েছে। বাপিবাবুর পারিবারিক এক বন্ধুর কথায়, ‘‘প্রথম থেকেই ঠিক হয়েছিল, হাসপাতালে থাকাকালীন চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে নবনীতাকে পুরোটা বলা হবে। সেইমতোই এ দিন ওঁকে সবটা জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নবনীতা কান্নাকাটি শুরু করেন।’’
গত ২২ এপ্রিল রাতে কোলাঘাট থেকে ফেরার পথে উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন নবনীতা। ঘটনার দিনই মৃত্যু হয় প্রীতম ও শিবমের। তার কয়েক দিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মধুমিতাদেবীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবনীতাকে স্থানান্তরিত করানো হয়েছিল কলকাতার বাইপাস লাগোয়া ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে একাধিক অস্ত্রোপচারের পরে নবনীতার অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই ভাল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এ দিন সমস্ত ঘটনা জানার পরে তাঁর মানসিক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সকলেই। এক পারিবারিক বন্ধুর কথায়, ‘‘এত বড় একটা মানসিক আঘাত। সেটা সামলাতে তো সময় লাগবেই। দেখা যাক এখন কী হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy