ঝকঝকে: সংস্কারের পরে চেহারা ফিরেছে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের। রবিবার, সল্টলেaকে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
বছর খানেক আগেও এলাকা ভরা ছিল নোংরা আবর্জনায়। গন্ধে ব্যতিব্যস্ত হয়ে নাকে রুমাল চাপা দিতেন পথচারীরা। বদলে গিয়েছে সেই ছবি। সল্টলেক এবং সেক্টর ফাইভের নবদিগন্তের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের দু’পাড় সেজে উঠেছে।
ওই খালের এক দিক, যা নিক্কো পার্কের রাস্তার পাশ দিয়ে গিয়েছে তার সৌন্দর্যায়ন আগেই হয়েছে। বাকি ছিল সল্টলেকের ইই ব্লকের পাশের খালপাড়। সম্প্রতি সেই কাজও শেষ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিএমএস বিভাগ।
খাল এবং খালের ধারের পরিবেশ নিয়ে এক সময় নানা অভিযোগ উঠেছিল। খালপাড় দখল হয়ে যাচ্ছিল অস্থায়ী ঝুপড়িতে। জলের মধ্যেও জমা হচ্ছিল আবর্জনা। সল্টলেকে মশার উপদ্রব বাড়ার একটা বড় কারণ হয়ে উঠছিল খালটি। পুর ও নগরোন্নয়ন এবং রাজ্যের সেচ দফতর আলাদা ভাবে খাল নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে। খালের জল পরিষ্কারের পাশাপাশি খালপাড় সাজিয়ে তোলার কাজেও হাত দেয় সরকার।
বিএমএস বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিশিরকুমার আটা জানান, ওই খাল চিংড়িঘাটা থেকে শুরু করে প্রায় চার কিলোমিটার গিয়ে শেষ হয়েছে নয়াপট্টিতে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের এলাকায় কাজ করেছেন নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ। মাস কয়েক আগে সল্টলেকের দিকের খাল পাড় সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়ে এখন শেষ পর্যায়ে।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ঝুপড়ি নেই। টানা খালপাড় গ্রিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। খাল এবং পাড়ের মাঝে তৈরি হয়েছে পেভার ব্লকের পথ। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাতর্ভ্রমণের জন্য সেখানে ঢোকার ২০টি প্রবেশ পথ রাখা হয়েছে। ওই পথের ধারে লাগানো হয়েছে নানা প্রজাতির গাছ। পাড় সাজানো হয়েছে উজ্বল বাতিস্তম্ভে। শিশিরবাবু জানান, এই সংস্কারে প্রায় চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। খালের ধারে বসে থাকা ঝুপড়ি সরাতে বিধাননগর পৌর নিগমও সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy