লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
ভাঙড় ডিভিশনের জন্য এ বার সাইবার সেল তৈরির পরিকল্পনা শুরু করল লালবাজার। কলকাতা পুলিশের বাকি ডিভিশনগুলির মতো ভাঙড়েও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করতে এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। পরিদর্শন করার পাশাপাশি লালবাজারের সাইবার আধিকারিকদের বাকি প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
তিন মাস আগে কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে ভাঙড়। সেটিকে একটি পৃথক ডিভিশন করা হয়েছে। গোটা এলাকায় আটটি থানা হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত চারটি থানা থেকে শুরু হয়েছে যাবতীয় কাজ। ওই থানাগুলিতে সব ধরনের অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এ বার সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে ভাঙড় ডিভিশনে সাইবার সেল তৈরির ভাবনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাঙড় ডিভিশনে কী কী ধরনের সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে, তা দেখা হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলে পরবর্তী ধাপে বাকি কাজ শুরু হবে।
ভাঙড় ছাড়া কলকাতা পুলিশে আরও ন’টি ডিভিশন রয়েছে। প্রতিটি ডিভিশনেই রয়েছে আলাদা সাইবার সেল। সেখানে একাধিক পুলিশকর্মীকে দায়িত্বে রাখা হয়। লালবাজারের সাইবার বিভাগের পাশাপাশি অভিযোগের তদন্তে যোগ দেন ডিভিশনের সাইবার আধিকারিকেরাও। ডিভিশনের অধীন থানার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করেন ওই সেলের আধিকারিকেরা। এ বিষয়ে সচেতনতা প্রচারেও ভূমিকা থাকে সেলের।
জানা গিয়েছে, কোনও থানায় সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগ এলে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের সাইবার সেল। প্রতারণার টাকা কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, তা জানার পাশাপাশি টাকা উদ্ধারের জন্য অ্যাকাউন্ট ব্লকের কাজ করে ওই সেল। অপরাধী ধরতে বহু ক্ষেত্রে থানার কর্মীদের সঙ্গে ভিন্ রাজ্যেও পাড়ি দেন সাইবার সেলের আধিকারিকেরা। তিন মাস পেরোলেও ভাঙড়ে সাইবার সেল না থাকায় সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছিল বলে দাবি লালবাজারের একাংশের। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের বাকি ডিভিশনগুলির মতো ভাঙড়েও সাইবার সেল করা হবে। দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy