ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন এলাকায় নতুন আলো। শনিবার। — রণজিৎ নন্দী
অপরাধ ঠেকাতে বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের আনন্দে মাতোয়ারা শহরের একাংশ আলোয় মুড়ে ফেললো পুর প্রশাসন। পুলিশের পরামর্শেই ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন এলাকায় জোরালো বাতি লাগানো হলো। প্রায় অন্ধকারে থাকা ওই এলাকায় ৬০০ বাতিস্তম্ভ লাগিয়ে জায়গাটা আলোকিত করল পুরসভা। আপাতত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতি বছরই ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি লক্ষাধিক মানুষ ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট এবং ভিক্টোরিয়া চত্বরে ভিড় করেন। প্রায় ভোর পর্যন্ত চলে হই চই। এর সঙ্গে রয়েছে পার্টি, নাইট ক্লাব থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় জলসার অনুষ্ঠান। উৎসবপ্রেমীদের একটা বড় অংশ তরুণ-তরুণী। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সবসময় কড়া নজর রাখতে হয় পুলিশকে। এ বারও পুলিশ এবং প্রশাসনের এক বৈঠকে আগেভাগেই ব্রিগেডের প্রসঙ্গ ওঠে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় ব্রিগেডের অনেকটাই অন্ধকার এলাকা। বিদ্যুতের কোনও সংযোগও নেই। অপরাধীর পক্ষে পালানো সহজ।
এ সব ভেবেই এ বার ওই এলাকায় উচ্চবাতি সম্পন্ন সোডিয়াম ভেপার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুর প্রশাসন। পুরসভার আলো দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভিক্টোরিয়ার উত্তর দিকে ব্রিগেড ময়দানের পাশ ঘিরে ওই সব বাতি লাগানো হয়েছে। যেহেতু ওই এলাকায় কোনও বিদ্যুতের সংযোগ নেই তাই জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিগেড ঘিরে ওই আলো লাগানো হয়েছে। এর জন্য পুরসভা ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে। ৭৫ কিলো ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট পাঁচটি জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে। উৎসব ক’দিন যাতে ওই এলাকা আলোময় হয়ে থাকে তার জন্য রাতভর চলবে জেনারেটর।
এক পুলিশকর্তা জানান, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর জুড়ে লাখ খানেক মানুষের সমাগম কী ভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়েই ব্যস্ত পুলিশ প্রশাসন। কারণ এদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে দুষ্কৃতীও। ব্রিগেডের মতো বিশাল ময়দানের বেশ কিছুটা অংশ ‘নো লাইট’ জোন হওয়ায় কপালে ভাঁজ ছিল প্রশাসনের। এখন আলোর ব্যবস্থা হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy