বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে জেটলির সঙ্গে আলাপচারিতায় মমতা। দর্শক কেজরীবাল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
শিল্পের জন্য জমি পাওয়া এ রাজ্যে কোনও সমস্যা নয়। বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের উদ্বোধন করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, নিতিন গডকড়ি, সুরেশ প্রভু এবং পীযূষ গয়াল। ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ছিলেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের বেশ কয়েকজন।
মূলত বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই আয়োজন। বিশ্ব বঙ্গ সম্মলনে জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। তবে রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সম্ভবত মুকেশ অম্বানির উপস্থিতি। দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশের উপস্থিতি বিশ্ব বঙ্গ সম্মলনের মুকুটে নিঃসন্দেহে একটি পালক জুড়েছে। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ এবং আমি বলছি এই রাজ্য বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থান।’’ মুকেশ জানান, তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স জিও ডিজিটাল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে এ রাজ্যে গত তিন বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই বাংলার এক হাজার শহর এবং ২৩ হাজারেরও বেশি গ্রামকে জুড়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০১৭ সালের মধ্যে রাজ্যের ৪০ হাজার গ্রামকেই এই পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা।’’ মুকেশ অম্বানি ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাকেশ মিত্তল, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েন্কা, হর্ষ নেওটিয়া।
আরও পড়ুন:
আরও শিল্প গড়ুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এ রাজ্যে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগের আদর্শ পরিবেশের উপর বেশি জোর দেন। জমি পাওয়া এ রাজ্যে কোনও সমস্যাই নয় বলেও তিনি বেশ জোর গলায় দাবি করেন। তিনি জানান, রাজ্যে এখন বিদ্যুৎও উদ্বৃত্ত।
বাংলার উন্নয়নে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সব রকমের সহায়তা করবে বলে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই এ দিন আশ্বাস দেন। তবে অরবিন্দ কেজরীবাল এবং অরুণ জেটলির এক মঞ্চে অধিষ্ঠান নিঃসন্দেহে এ দিন নজর কেড়েছে। ডিডিসিএ কাণ্ডের জেরে জেটলি-কেজরীবালের তুমুল তরজার রেশে দেশের রাজধানী এখনও সরগরম। তার মদ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এক মঞ্চে দু’জনের একই সময় উপস্থিতি অনেককেই অবাক করে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy