ধাপার বিকল্প হিসেবে নতুন ভাগাড় তৈরির জন্য ৩৫ একর জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। —ফাইল চিত্র।
এক ধাক্কায় প্রায় ২০ কোটি টাকা কমে গেল জমির দাম। সেই সঙ্গে জমির চরিত্র বদলে দর বাড়ানোর প্রয়াসও আপাতত রুখে দিল পুর প্রশাসন। এমনটাই ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসপুঞ্জে। প্রসঙ্গত, ধাপার বিকল্প হিসেবে নতুন ভাগাড় তৈরির জন্য ওই এলাকায় প্রায় ৩৫ একর জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। সেই মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রস্তুতিও শুরু হয়।
জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, ওই জায়গায় ছোট ছোট একাধিক জমি রয়েছে। এপ্রিলে সেই সব জমির তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয় পুরসভা। তাদের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল, বর্গা ছাড়া কাঠা প্রতি ২৭ হাজার টাকার মতো লাগবে। কিন্তু, সেপ্টেম্বরে হঠাৎই জমির তালিকায় ‘সেমি কমার্শিয়াল’ শব্দটি হাতে লিখে দেওয়া হয়। তাতে জমির মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় কাঠা প্রতি প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা! অর্থাৎ পুরো জমির জন্য প্রায় ৫৩ কোটি। সেই চিঠি পেয়েই বেঁকে বসেন পুরকর্তারা।
অভিযোগ ওঠে, বিশেষ কাউকে সুবিধা পাইয়ে দিতে জমির দর বাড়ানো হয়েছে। এই জটিলতায় আটকে যায় ভাগাড় তৈরি। মেয়র পদে বসার পরে ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, জঞ্জাল ফেলার জমি সেমি-কমার্শিয়াল করা যাবে না। তার পরেই রাজ্যের আইজি (রেজিস্ট্রেশনকে) পুর ভবনে ডেকে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র এবং পুর কমিশনার। সেখানে নতুন করে ওই জমির মূল্যায়ন করতে বলা হয়। দিন সাতেকের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন দফতর থেকে তিন রকম দর দেওয়া হয়। বর্গা ছাড়া জমির দর, বছর তিনেক আগে মেট্রো রেলকে বিক্রি করা দর এবং সেমি কমার্শিয়াল হিসেবের দর ছিল তাতে। তখন জানা যায়, মেট্রো রেলকে ওই জমি বিক্রি করা হয়েছে কাঠা প্রতি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায়। যা সেমি কমার্শিয়াল দরের থেকে কাঠা প্রতি প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা কম। দরের সেই তালিকা নিয়ে ফের বৈঠক হয় পুরসভায়। তার পরেই ফিরহাদ বলেন, ‘‘মেট্রো রেলকে যে দরে জমি বিক্রি করা হয়েছিল, সেই দরেই তা কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy