—প্রতীকী ছবি।
একটি নামী সংস্থার ঘড়ির শোরুমের শাটার ভেঙে বহু লক্ষ টাকার ঘড়ি চুরির ঘটনা ঘটল। বুধবার রাত সওয়া তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে ভূপেন বসু অ্যাভিনিউয়ে। ওই শোরুমের কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্তত ৭০ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকার ঘড়ি চুরি গিয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। প্রশ্ন উঠেছে, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে সব সময়ে পুলিশি টহল থাকে, সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশের গাড়ি, সেখানে তাদের নজর এড়িয়ে দোকানের শাটার ভেঙে চুরি হয় কী ভাবে?
দোকানের এক আধিকারিক সঞ্জয় হাজরা জানান, তাঁদের শোরুমের এক কর্মী থাকেন দোকানের পাশেই একটি ঘরে। তিনি অবশ্য রাতে চুরির ঘটনা টের পাননি। এ দিন সকালে উঠে ওই কর্মী দেখেন, দোকানের শাটার ভাঙা। তার পরেই তিনি ফোন করে বাকিদের খবর দেন।
এ দিন ওই শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, ভিতরে লন্ডভন্ড অবস্থা। অধিকাংশ কাচের আলমারি খোলা। সেগুলিতে থাকা বেশির ভাগ ঘড়িই উধাও। তবে আলমারির তালা ভাঙা হলেও কাচ ভাঙেনি দুষ্কৃতীরা। অক্ষত রয়েছে শোরুমের সিসি ক্যামেরাও। সঞ্জয় জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী শোরুমে ঢুকে কাচের আলমারির তালা ভেঙে ঘড়ি নিয়ে যাচ্ছে। রাত সওয়া তিনটে থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তারা চুরি করে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা মূলত দামি ঘড়ি, যেগুলির দাম ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, সেগুলিই বেশি নিয়েছে। কম দামি ঘড়ি কম নিয়েছে।’’
কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মোড়ে এই ধরনের ঘটনা পুলিশের চোখে পড়ল না? শ্যামপুকুর থানার এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ভূপেন বসু অ্যাভিনিউয়ের ফুটপাত ঘেঁষে রাতে বিভিন্ন রুটের বাস দাঁড় করানো থাকে। যার জন্য ফুটপাত আড়াল হয়ে থাকে। তাই রাস্তায় পুলিশি টহল থাকলেও ফুটপাতে কী হচ্ছে, সব সময়ে বোঝা যায় না। তবে শোরুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy