বিধাননগর-রাজারহাটের প্রথম মেয়র হিসেবে সব্যসাচী দত্ত শপথ নেবেন ১৬ অক্টোবর। ওই দিনই শপথ নেবেন কাউন্সিলরেরা, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়, এবং চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
তবে নতুন পুর-নিগমের নাম কী হবে— শুধু বিধাননগর নাকি রাজারহাট ও বিধাননগর উভয়ের নামেই নামকরণ হবে, কিংবা একেবারে অন্য কিছু?
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নামটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হয়েছে। তিনি এমনকী এই পুর-নিগমের লোগো-ও আঁকার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। যার অর্থ, এই নামটিই মোটামুটি চূড়ান্ত। যদিও অনেকের বক্তব্য, রাজারহাট-নিউ টাউনের একটি বড় এলাকা এই পুর-নিগমের অন্তর্ভুক্ত, এমনকী পুর-ওয়ার্ডের বিচারেও ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টিই রাজারহাটের।
মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই বিধাননগরকে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করার লক্ষ্যে পরদিন, ১৭ অক্টোবর একটি ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করেছেন সব্যসাচীবাবু। তার মাধ্যমে সারা দেশের প্রবাসী বাঙালিদের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হবে।
বিধাননগর পুরনিগমের এক কর্তা জানান, পরিকল্পনা করেই মূল সল্টলেক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিধাননগরে দত্তাবাদ থেকে কুলিপাড়া হয়ে নয়াপট্টির মতো পিছিয়ে পড়া এলাকা রয়েছে। পুর-নিগম হওয়ার পরে রাজারহাট-নিউটাউন কিংবা রাজারহাট-গোপালপুরের বহু পিছিয়ে পড়া এলাকাও সংযুক্ত হয়েছে। এই মিশ্র উপনগরীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিক ভাবে এই এলাকার উন্নয়নে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। সেই নিরিখে অন্যান্য স্মার্ট সিটিগুলিকে সামনে রেখে উন্নয়নের কথা ভাবাই যেতে পারে। প্রবাসী বাঙালিদের কাছ থেকে সে বিষয়ে সহযোগিতা পেতেই এই পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই সব্যসাচীবাবু বলেছেন, পুর-নিগম চালু হতেই তিনি পরিস্রুত পানীয়, নিকাশি এবং আবর্জনা সাফাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
তবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএমের কাউন্সিলরেরা অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ওই দিনটি ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়নি বামেরা। সল্টলেকের এক সিপিএম নেতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy