নিউটাউন ঝুপড়িতে আগুন আতঙ্কে রাস্তায় বহু মানুষ
বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল শহরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নিউ টাউনের শুলংগুঁড়ি কলোনিতে আগুনে পুড়ে গেল চারটি ঝুপড়ি ঘর। এ ছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি ঝুপড়ি। তবে স্থানীয় যুবকদের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন কলোনির বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় প্রথমে একটি ঝুপড়ি ঘরে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আরও তিনটি ঘরে। এ ছাড়া, দু’টি বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পাওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যদিও তার আগেই স্থানীয় যুবকেরা জল দিয়ে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় নিউ টাউনের শুলংগুঁড়ি উত্তরপাড়া ক্যানাল পাড়ের ওই এলাকায় নিচু জমিতে বাঁশের মাচা করে বসবাস করেন বাসিন্দারা। সেখানেই এ দিন একটি ঘরে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়াতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। তবে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন স্থানীয় যুবকেরা। বাড়িগুলির তলায় জল থাকায় আগুন খুব বেশি দূর ছড়াতে পারেনি বলে দমকল সূত্রের খবর। জায়গাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দমকলকে বেগ পেতে হয়। একটি জায়গা পর্যন্ত গিয়ে তার পরে পাইপ ফেলে কাজ শুরু করতে হয় দমকল কর্মীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, এক বাসিন্দার বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই প্রথম আগুন লাগে।
উত্তম মণ্ডল, বিধান মণ্ডল, তাপসী ঢালি এবং বিশ্বনাথ ঘোষ নামে চার বাসিন্দার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। তাপসী জানান, মেয়ে রিম্পাকে নিয়ে তাঁর সংসার। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মেয়েকে এ দিন সন্ধ্যায় টিউশনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন আগুনে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। সব শেষ হয়ে গেল। কী ভাবে সংসার চালাব, মেয়ের পড়াশোনা কী ভাবে বজায় রাখব বুঝতে পারছি না।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সন্ধ্যায়। তাঁরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। রাজারহাটের বিডিও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত একটি জায়গায় রেখে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy