এমনিতেই প্রচুর দেনা। তার উপরে মেয়ে আমেরিকায় ফিরবে, তার সেমেস্টারের জন্য প্রায় দশ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কিন্তু মেয়েকে বাবা সে কথা খোলাখুলি বলতে পারছিলেন না। তাই স্ত্রী ও যমজ ছেলেকে মাথায় ডাম্বেলের বাড়ি মেরে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নীল ফনসেকা।
পাম অ্যাভিনিউয়ে ফ্ল্যাটে যমজ ছেলে-সহ গৃহকর্ত্রী খুন ও গৃহকর্তা নীলের গুরুতর জখম হওয়ার তদন্তে এই তথ্যই এসেছে পুলিশের হাতে। গলায় ছুরির ক্ষত নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি, পেশায় ইন্টিরিয়র ডিজাইনার নীল এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
১৬ জানুয়ারি ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নীল পুলিশের কাছে এক বয়ানে জানান, তিন বছর আগে শেষ হওয়া তাঁর একটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের রেশ ধরে স্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হত। তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোয় তিনি ওই কাণ্ড ঘটান। কিন্তু পুলিশের একাংশের দাবি, তদন্ত ভুল পথে চালিত করতেই নীল ওই বয়ান দেন। আসলে নীলের মেয়ে সামান্থা শহরে ছিলেন। তাঁর ফেরার কথা ছিল ২০ জানুয়ারি। তখন দ্বিতীয় সেমেস্টারের জন্য লাখ দশেক টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। নীল সেই টাকা জোগাড় করতে পারেননি।
পুলিশের দাবি, নীল তাঁর অফিসের কর্মচারীদের বেতন বাবদ মাসে মোট দু’লক্ষ টাকা দিতেন। কিছু দিন হল তা-ও পুরো দিতে পারছিলেন না। কাজ করে দেবেন বলে এক বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন। ২ লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া বাকি ছিল। দেনা ছিল নানা জায়গায়। তবে এত কিছুর পরেও তাঁদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় ভাটা পড়েনি বলে জেনেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy