ফিরহাদ হাকিম। — ফাইল চিত্র।
এ যেন ঠিক নিধিরাম সর্দারের হাল। এক মেয়র পারিষদকে একটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই দফতরে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নেই, বাকি অধিকাংশ পদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীও নেই। অভিযোগ, এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করার লোক পর্যন্ত নেই। ফলে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে পিছিয়ে পড়েছে সেই দফতর। কাজ নিয়ে পুরমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করায় বিধাননগর পুরসভার আলো দফতরের এমনই অবস্থার কথা বেরিয়ে এল।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরে পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি পরিষেবার ক্ষেত্রে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর, সেখানে আলো দফতরের পরিষেবার মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তখনই দফতরে কর্মীর অভাবের কথা বলা হয় তাঁকে। মেয়র পারিষদ (আলো এবং উদ্যান) সুধীর সাহা জানান, সমস্যার কথা বলা হয়েছে মেয়র পরিষদের বৈঠকে। দফতরের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ নিয়ে আলোচনাও হয়। বিষয়টি নগরোন্নয়ন দফতরেও জানানো হবে বলে বক্তব্য তাঁর।
পুরমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, বিধাননগর পুরসভা চাইলে রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু কাজ দ্রুত শেষ করতেই হবে। এর পরে মন্ত্রীর নির্দেশে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন পুরকর্তারা। সূত্রের খবর, মন্ত্রী আলো দফতরের সমস্যার সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
বিধাননগর পুরসভার আলো দফতর সূত্রের দাবি, কাজের জন্য স্থায়ী এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে করণিক, কম্পিউটার অ্যাস্টিস্ট্যান্ট পদে কর্মী নেই। মেয়র পারিষদের দাবি, যেখানে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১৮ জন কর্মীর প্রয়োজন, সেখানে হাতে গোনা কয়েক জন নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে আলোর সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। মেয়র পারিষদ এ দিন বলেন, ‘‘পুরমন্ত্রী আর্থিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy