অন্যান্য পুরসভার তুলনায় সল্টলেকে সম্পত্তিকরের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে তার থেকে পুর কোষাগারে আয়ও কম হচ্ছে। কিন্তু সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন ব্যবস্থায় তাঁরা সম্পত্তিকর দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। সুবিধা হওয়ার বদলে উল্টে তাঁদের সময় নষ্ট হচ্ছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে পুরসভার দাবি, বাসিন্দাদের সুবিধার্থেই নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এত দিন রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সম্পত্তিকরের টাকা জমা করতে হত। কিন্তু ওই ব্যাঙ্কের একাধিক শাখা নেই। উপরন্তু, বর্তমানে বিধাননগর পুরসভার আওতায় রাজারহাট-গোপালপুর থেকে মহিষবাথান পঞ্চায়েতের একটি অংশও রয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের পুরসভায় গিয়ে দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে টাকা জমা দিতে হচ্ছিল। অনেক দিন ধরেই সেই ব্যবস্থা পাল্টানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি চালু হওয়া ব্যবস্থায় পুরসভার তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে গিয়ে করের টাকা নগদে বা চেকে দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাসিন্দাদের একটি অংশের অভিযোগ, গোটা বিষয়টি বেশ জটিল। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কে গিয়ে আগে একটি ফর্ম ভরে তবে টাকা জমা দিতে হচ্ছে। আগে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কে কোনও ফর্ম পূরণ করতে হত না। তাঁরা আরও অভিযোগ করছেন, ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের কথা তাঁরা আগে জানতেন না। পুরসভায় গিয়ে জানতে পেরেছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের কথা করের বিলের সঙ্গে জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া পুরসভায় এলেও বাসিন্দাদের তা বলা হয়েছে।
পুর প্রশাসনের একাংশ জানান, ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের একাধিক শাখা। সেখানে আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। এমনকী যাঁদের ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁরাও কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়বেন না।
এতে আখেরে বাসিন্দাদেরই সুবিধা হবে। বিধাননগরের বাসিন্দাদের ঞএকটি সংগঠনের কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় অনলাইনে কর প্রদানের সুবিধা রয়েছে। আশা করি পুর কর্তৃপক্ষ সে বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তাতে উভয় পক্ষেরই সুবিধা হয়।’’
মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের সুবিধার্থেই এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করের টাকা জমা করার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে অনলাইনে কর প্রদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করার কাজ চলছে। সেই পরিকল্পনা কার্যকর হলে পরিষেবার গতি আরও বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy