জলমগ্ন আমহার্স্ট স্ট্রিট। — ফাইল চিত্র
একটু বৃষ্টি হলেই জল জমতো ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিটে। দীর্ঘকাল ধরে কলকাতা শহরে এটাই চেনা ছবি। সেই চিত্রই এ বার পাল্টে যাবে বলে বুধবার দাবি করলেন নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। তাঁর দাবি, বৃষ্টি হলেই ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের সামনে জল জমার দৃশ্য আর দেখতে হবে না কলকাতাকে। ব্যাপক বৃষ্টিতে যদি বা জল জমে, তা নেমে যাবে দু’তিন ঘণ্টার মধ্যেই। আগের মতো তিন-চারদিন জল জমে থাকার ভোগান্তি আর পোয়াতে হবে না মানুষকে।
এতটা আত্মবিশ্বাসী কী করে? তারকবাবু জানান, এ শহরের নিকাশি পরিকাঠামো নিয়ে এক সময়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। ঘণ্টায় ৬ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই শহরে জল জমত। গত এক বছর ধরে শহর জুড়ে যন্ত্রের সাহায্যে পলি তোলা হয়েছে। সাফ করা হয়েছে নিকাশি নালাও। মেয়র পারিষদের দাবি, ‘‘এখন জোরের সঙ্গে বলতে পারি ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও ঠনঠনিয়ায় জল জমবে না। তার বেশি বৃষ্টি হলে যে জল জমবে, তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সরে যাবে।’’
আসন্ন বর্ষায় শহরে কয়েক জায়গায় জল জমতে পারে, এমন আশঙ্কায় এ দিন মেয়র পারিষদ (নিকাশি)-র কাছে ডেপুটেশন দেন পুরসভার বাম কাউন্সিলরেরা। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী মেয়র পারিষদকে জানান, কলেজ স্ট্রিট, বিধান সরণি, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, বেহালা, বাঁশদ্রোণী, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ব্রহ্মপুর এবং নিউ গড়িয়া-সহ আরও কিছু জায়গায় জল জমার প্রবণতা রয়েছে। তেমন পরিস্থিতিতে ওই সব এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উপরে নজর রাখার আবেদন জানান তাঁরা।
বিরোধী কাউন্সিলরদের বক্তব্য শুনে তারক সিংহ জানিয়ে দেন, গত এক বছর ধরে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা সুষ্ঠু করার তাগিদে গালিপিট, ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালায় থাকা কাদামাটি-সহ যাবতীয় বর্জ্য সরানো হচ্ছে। আর তাতে শহরে বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টির জল জমার প্রবণতাও অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। সেখানেই ঠনঠনিয়ার প্রসঙ্গ উঠতে তারকবাবু বাম কাউন্সিলরদের সাফ জানিয়ে দেন, অস্বাভাবিক বৃষ্টি না হলে ঠনঠনিয়া এবং আমহার্স্ট স্ট্রিটে আর জল জমবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy