লালবাজার, কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। ফাইল ছবি।
নিজের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের আমন্ত্রণে সিনেমা দেখতে গিয়ে মার খেলেন এক পুলিশ আধিকারিক। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার পার্ক সার্কাসের একটি মাল্টিপ্লেক্সে তাঁর ডিভিশনের কিছু অফিসারকে আমন্ত্রণ জানান বলিউড হিট ‘সঞ্জু’ ছবিটি দেখার জন্য।
মাল্টিপ্লেক্সের একটি বিশেষ ব্লক সংরক্ষিত ছিল পুলিশ কর্তাদের জন্য। আর সেখানে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের দুঁদে অফিসাররা। ডেপুটি কমিশনার থেকে শুরু করে অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন থানার ওসিরাও।
কিন্তু ছবি শুরু হতে না হতেই বিপত্তি। অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় সামনের ব্লকের এক দর্শক উঠে দাঁড়ানো দূরে থাক, কটু মন্তব্য করেন। আর সেই নিয়ে এক দফা বচসা শুরু হয় যখন বেনিয়াপুকুর থানার ওসি বাধা দেন।
আরও পড়ুন: ‘দাদা’দের হামলা, নিউটাউনে মামাবাড়ি এসে সর্বস্বান্ত ভাগ্নেরা
সেই সময়কার মতো গন্ডগোল মিটে গেলেও ফের অশান্তি শুরু হয় ছবির বিরতির সময়। অভিযোগ, সেই দর্শক ওই সময় গালিগালাজ করতে থাকে পুলিশকর্তাদের উদ্দেশে। পুলিশ কর্তারা কেউ উর্দিতে ছিলেন না। স্বভাববতই সেই দর্শকও চিনতে পারেননি পুলিশ কর্তাদের। তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়সূর্য মুখোপাধ্যায় এবার ওই দর্শককে বাধা দিলে গন্ডগোল শুরু হয়। ওই দর্শক এবং তাঁর দুই সঙ্গী, তিনজনে তেড়ে আসে পুলিশ কর্তাদের দিকে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি, মারামারি-ঘুষোঘুষি। তার মধ্যেই আঘাত পান একাধিক পুলিশ কর্তা। কেউ পড়ে যান। কেউ হাতে পায়ে আঘাত পান।
তিলজলা থানার ওসি কড়েয়া থানায় অভিযোগ করেছেন, মারধর,হুমকি,গালিগালাজ করা ছাড়াও তাঁর সোনার হার ছিড়ে নেয় ওই দর্শক এবং তাঁর সঙ্গীরা। ধস্তাধস্তির মাঝে একজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁর নাম মহম্মদ তৌসিফ আসলাম। বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা এই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। মূল বাড়ি উত্তরপ্রদেশ। এখানে ব্যবসা করেন। তাঁর দুই সঙ্গীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।কিন্তু তাঁরা এখনও ফেরার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy