ছবি: সংগৃহীত
শহর ও শহরতলিতে উড়ালপুল মেরামতির সময়ে তার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যেতে হবে।
দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সেই জন্য যে উড়ালপুল বা সেতুর মেরামতির প্রয়োজন, তার নীচে কত জন বসবাস করেন তা জানতে সমীক্ষা চালানো হবে। এর পরে তাঁদের সেখান থেকে
সাময়িক ভাবে সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হবে। তবে মেরামতির কাজ শেষ হলে ওই বাসিন্দা বা ব্যবসায়ীরা ফের তাঁদের জায়গায় ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। কেএমডিএ-র অভিযোগ, এর আগে উড়ালপুল বা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে অনেক সময়েই তার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরতে বলা সত্ত্বেও তাঁরা জায়গা ছেড়ে যাননি। কিন্তু মেরামতির সময়ে বাসিন্দারা রয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই এ বার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ। এ জন্য মেরামতির কাজ শুরুর আগেই সমীক্ষা চালিয়ে দেখে নেওয়া হবে যে, ওই উড়ালপুল বা সেতুর তলায় কোথায় কত লোক রয়েছেন।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘাযতীন সেতুর মেরামতির ব্যাপারে আগেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ওই উড়ালপুলের নীচের একাংশ ইতিমধ্যে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহরে এখনও পর্যন্ত ১২টি উড়ালপুল এবং সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে বিজন সেতু-সহ আরও চারটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ এখনও বাকি।
আরও পড়ুন: জনতা বলছে, যুদ্ধ চাই না
কেএমডিএ সূত্রের খবর, এর আগে শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে তার নীচে থাকা বিক্রেতাদের সরতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্রেতাদের একাংশ দোকান বন্ধ রাখলেও অনেকেই সেই আবেদনে কান দেননি। অরবিন্দ সেতুর তলায় বসবাস করা বাসিন্দাদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। বাঘাযতীন উড়ালপুলে দু’বার চাঙর ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই কারণেই কর্তৃপক্ষ এ বার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
অন্য দিকে উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সেগুলির মেরামতির কাজ শুরু করার জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী মাসের শুরুতেই উড়ালপুলগুলির মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy