—ফাইল চিত্র।
ভাগাড়ের জঞ্জাল থেকে দূষণের অভিযোগ নতুন নয়। এ বার তাই ভাগাড় সামলাতে ‘গুজরাত-নাগপুর’ মডেলের অনুকরণে ‘বায়ো-মাইনিং’ পদ্ধতির ব্যবহার করতে চলেছে রাজ্য। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, এই পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্যের পৃথকীকরণের মাধ্যমে আবর্জনা সামাল দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই গুজরাতের পিপরায় গিয়ে কী ভাবে সেই কাজ করা হয় তা দেখে এসেছে রাজ্যের একটি দল। আজ, শুক্রবার আরও একটি দলের নাগপুর যাওয়ার কথা। ওই দুই জায়গার পুরসভা কী ভাবে কাজ করছে, তা দেখে নিয়েই সেই পথে এগোতে চাইছে রাজ্য। পর্ষদ সূত্রের খবর, কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভা এলাকার ভাগাড়ে প্রথমে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা ভাবা হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকা হবে।
ভাগাড়ে পড়ে থাকা কঠিন বর্জ্যে আগুন লেগে বায়ুদূষণ ঠেকাতে ধাপা ও প্রমোদনগর ভাগাড়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন থাকছে। তবে কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণের মূল কারণ হিসেবে গাড়ি ও রাস্তার ধুলোকেই দায়ী করছেন পর্ষদের আধিকারিকেরা। পর্ষদ সূত্রের খবর, কলকাতা-হাওড়ার দূষণের কারণ হিসেবে জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা (নিরি)-র সমীক্ষার খসড়া রিপোর্টে সব চেয়ে দায়ী করা হয়েছে রাস্তার ধুলোকেই। শীঘ্রই এ নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়তে পারে।
নিরি ও পর্ষদের বিজ্ঞানীদের অনেকে অবশ্য বলছেন, রাস্তার ধুলোয় যানবাহনের দূষণও মিশে থাকে। ভারী গাড়ির চাকা থেকেও ধুলো ওড়ে। তাই বায়ুদূষণের পিছনে রাস্তার ধুলোর অনেকটাই আসে যানবাহন থেকে। তবে সূত্রের খবর, খসড়া রিপোর্টের পরিসংখ্যান চূড়ান্ত রিপোর্টে বদলে যেতে পারে। কারণ কারখানা, নির্মাণস্থল ও বাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ধুলোও কলকাতার বায়ুদূষণের জন্য দায়ী।
বৃহস্পতিবার বায়ুদূষণ নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক যৌথ অনুষ্ঠানে পর্ষদের সদস্য-সচিব রাজেশ কুমার জানান, ভাগাড়গুলিতে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি রাস্তার ধুলো ঠেকাতে নিয়মিত জল ছেটানো হচ্ছে। ময়দান চত্বরে সেনাও জল ছিটোচ্ছে। ডিজেল ট্যাক্সি বদলে বিদ্যুৎচালিত ট্যাক্সি কিনলে এক লক্ষ টাকা ভর্তুকির কথা বলা হয়েছে। পর্ষদের মুখ্য বিজ্ঞানী উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় জানান, শহরে বায়ুদূষণের চরিত্র ও পরিমাণ বিশ্লেষণে ‘মেশিন লার্নিং’-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ফলে আরও ভাল ভাবে বায়ুদূষণ পরিমাপ করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy