পাহারা: পুরসভার কর্মীদের সঙ্গী পুলিশ। সোমবার, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধালেঙ্গা মৌজার জলাভূমি পুনরুদ্ধারের কাজে। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি সংরক্ষণের কাজে সহায়তা চেয়ে পুলিশকে চিঠি লিখেছিল কলকাতা পুরসভা। যাতে সংরক্ষণের কাজ করতে গিয়ে পুরকর্মীদের নিরাপত্তা কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়। পুরসভার সেই চিঠি পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। ফলস্বরূপ, সোমবারই পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড অধীনস্থ ধালেঙ্গা মৌজার জলাভূমি পুনরুদ্ধারের কাজে পুর দলের সঙ্গী হল পুলিশ।
পুরসভা সূত্রের খবর, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই সংরক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাব্য সময়সীমা ধরা হয়েছে ১০ দিন। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ এই অভিযানে আমাদের সঙ্গে ছিল। সকাল থেকেই এ দিন ওই কাজ শুরু হয়েছে।’’
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, শুধু জলাশয় সংরক্ষণই নয়, বেআইনি বাড়ি ভাঙা-সহ একাধিক কাজে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, তা সে বোজানো জলাশয় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনাই হোক বা বেআইনি বাড়ি ভাঙা— স্থানীয়দের প্রতিরোধের কারণে অনেক সময়ে সে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট অভিযানে যাওয়া পুরকর্মীদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, এমন ঘটনাও এর আগে ঘটেছে।
তাই এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক ছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ পালনের দায়িত্ব পুরসভার। ফলে এই কাজ ঠিকমতো এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না হলে তার জবাবদিহি করতে হত পুরসভাকেই। তাই সব দিক দেখেশুনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
এমনিতে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি যে হারে বোজানো হয়েছে বা সে কাজ এখনও ক্রমাগত হয়ে চলেছে, সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা। পরিবেশ আদালতও রামসার তালিকাভুক্ত এই জলাভূমির জমির চরিত্র যাতে পরিবর্তন করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে। যে সমস্ত জমির চরিত্র ইতিমধ্যেই পরিবর্তিত হয়েছে, তা-ও যথাসম্ভব পূর্বাবস্থায় ফেরানোর কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিতেই এ দিনের অভিযান বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy