মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অথচ মৃতার নিকটাত্মীয়দের হদিস নেই। দূর সম্পর্কের কোনও আত্মীয় কিংবা পরিচিতেরাও মৃতদেহ নিতে উৎসাহী নন। যার জেরে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ নিয়ে ফাঁপরে সোনারপুর থানা।
থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বৈকুন্ঠপুরের একটি পুকুর থেকে শান্তি ঘোষ (৬০) নামে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই প্রৌঢ়া জলে ডুবে মারা গেছেন। পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে থাকতেন শান্তিদেবী। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর কোনও সন্তান নেই বলেই প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে। ফলে মহিলার মৃতদেহ কাদের হাতে তুলে দেবে তা বুঝতে পারছে না পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রৌঢ়ার মোবাইল ফোন থেকে কয়েক জন দূর সর্ম্পকের আত্মীয়ের হদিস পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাঁরা মৃতদেহ নিতে আগ্রহ দেখাননি। পুলিশ জানায়, শান্তিদেবী কয়েকটি কীর্তনের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এলাকার বিভিন্ন দলের সঙ্গে কীর্তন গাইতেন। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘আইন অনুযায়ী, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন আত্মীয় ছাড়া কারও কাছে মৃতদেহ দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে ওই ভদ্রমহিলার তেমন কোনও আত্মীয়ের হদিস মেলেনি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, তেমন কাউকে না পাওয়া গেলে ময়না-তদন্তের পর সাত দিন ওই মৃতদেহ রাখা হবে। তার পরে বেওয়ারিশ ঘোষণা করে সৎকার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy