বাগড়ি মার্কেট। ফাইল চিত্র
বাগ়ড়ি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের এক সপ্তাহ পরেও তিন অভিযুক্তের হদিস পেল না লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন ফেরার মালিক রাধা বাগ়ড়ি, তাঁর ছেলে বরুণরাজ এবং বাগড়ি মার্কেটের সিইও কৃষ্ণ কোঠারির হদিস পেতে এ বার তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরেও নজরদারি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। একটি সূত্রের দাবি, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ। কিন্তু তাঁরা ভিন্ রাজ্যে থাকলে টাকার প্রয়োজন। কোথা থেকে অ্যাকাউন্টের টাকা তোলা হচ্ছে কি না, তা জানতে গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরে নজর রাখা প্রয়োজন।
লালবাজারের এক গোয়েন্দা-কর্তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এর আগে বেশ কয়েকটি বড় ঘটনার ক্ষেত্রে একই রকম নজরদারির কায়দা নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের আরেকটি অংশের পাল্টা যুক্তি, অনেক ক্ষেত্রেই হাওয়ালা কারবারের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন চলে। ঠিক যেমন বছর কয়েক আগে মধ্য কলকাতার এক ফেরার মাফিয়ার ক্ষেত্রে হাওয়ালা মারফতই ভিন্ রাজ্যে টাকা পৌঁছে যাচ্ছিল।
লালবাজারের একটি সূত্র বলছে, মধ্য কলকাতায় একাধিক হাওয়ালা ব্যবসায়ী রয়েছে। অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের পাশাপাশি ওই হাওয়ালা কারবারে যুক্তদের উপরেও নজরদারি রয়েছে। তবে এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা হাওয়ালা লেনদেন করবেন না বলেই দাবি একটি সূত্রের। কলকাতা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘লুক আউট নোটিস জারি হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর দিয়ে দেশের বাইরে পালানোর পথ কিন্তু অভিযুক্তদের বন্ধ।’’
আরও পড়ুন: বাগড়ির বর্জ্যে বিপদ, প্রয়োজন সতর্কতা
১৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আগুন লেগেছিল ক্যানিং স্ট্রিটের বাগড়ি মার্কেটে। কেউ হতাহত না হলেও পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে অন্তত দু’শোটি দোকান। টানা চার দিন লড়াই চলার পরে আগুন নেভে। শনিবারও পোড়া মার্কেট থেকে ছাই, ভস্মীভূত হওয়া সরঞ্জাম সাফাই হয়েছে। সেই ছবি ভিডিয়ো ক্যামেরায় তুলে রেখেছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা। পুরকর্তাদের যুক্তি, এই সাফাইয়ের সময় যাতে কোনও বহিরাগত কোনও জিনিস ভিতরে রেখে আসতে না পারে এবং যাতে কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় তাই এই ভিডিয়োগ্রাফি। ইতিমধ্যেই বাগড়ির উপরে নজরদারি করতে ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ দিনও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন বাগড়ির সামনে মোতায়েন রাখা হয়েছিল।
এ দিন বাগড়ি মার্কেটের উল্টো দিকে মেহতা বিল্ডিংয়ের বেশ কয়েকটি দোকান খুলেছে। তবে ওই এলাকার বহু বাড়ি এখনও বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন। বাগ়ড়ির পাশেই একটি বাড়ির পাঁচতলায় সপরিবার বাস করেন প্রণব রাঠৌর। তিনি বলেন, ‘‘গত সাত দিন ধরে আলো নেই। পরিবার নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছি। বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির নীচে মিষ্টির দোকানও খুলতে পারছি না। বলা হয়েছিল, শনিবার বিদ্যুৎ আসবে। কিন্তু এল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy