Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Baguiati Police Station

Baguiati Police Station: প্রতারণা-চক্রের মাথা দুই বোন, গ্রেফতার ছ’জন

গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই বোন, যাদের নেতৃত্বে গত কয়েক মাস ধরে চক্রটি চলছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৯
Share: Save:

মহিলা পরিচালিত একটি প্রতারণা-চক্রের সন্ধান মিলল শহরে। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে সেটি চালাচ্ছিল দুই বোন! শুক্রবার বাগুইআটি থানা এলাকার লোকনাথ পার্কের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ওই চক্রের সন্ধান পান সিআইডি-র সাইবার অপরাধ থানার তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ মহিলা-সহ ছ’জনকে।

গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই বোন, যাদের নেতৃত্বে গত কয়েক মাস ধরে চক্রটি চলছিল। সিআইডি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম পুবালি মিত্র, স্নেহা মিত্র, ডালিয়া নাথ, প্রিয়া চক্রবর্তী, অনিতা গুপ্ত এবং সুবর্ণ সাহা। পুবালি ও স্নেহা দুই বোন। তারা এক প্রাক্তন সেনা অফিসারের মেয়ে বলে জানা গিয়েছে। তাদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানা এলাকার কল্যাণনগরে।

তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুই বোন মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণার উদ্দেশ্যেই লোকনাথ পার্কের বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে পঞ্চাশটির মতো মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে অসংখ্য প্রতারিতের নথি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ভুয়ো চুক্তিপত্র, একাধিক ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, পুবালি এবং স্নেহা প্রতারণার অভিযোগে আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ভাড়া করে ফের তারা ওই চক্র খোলে। মূলত সেখানে মহিলাদেরই কাজে লাগানো হত। এর আগেও শহরে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অনেকে। তবে গোয়েন্দাদের মতে, মহিলা পরিচালিত ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান তাঁরা প্রথম বার পেলেন।

প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে মানুষকে ফোন করা হত ওই কল সেন্টার থেকে। দু’টি মোবাইল সংযোগ সংস্থার নাম করে ফোনে জানতে চাওয়া হত, জমি বা
বাড়িতে মোবাইল টাওয়ার বসাতে তাঁরা ইচ্ছুক কি না। এ জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত। এর পরে কেউ প্রস্তাবে সাড়া দিলে প্রতারকেরা তাঁকে ‘প্রসেসিং চার্জ’ হিসাবে কয়েক হাজার টাকা অনলাইনে জমা করতে বলত। টাওয়ার বসাতে দূষণ ও পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র এবং জিএসটি প্রয়োজন। সেই অছিলায় ওই ‘প্রসেসিং চার্জ’ বাবদ টাকা দাবি করা হত বলে জানাচ্ছেন এক তদন্তকারী অফিসার। ইচ্ছুক ব্যক্তি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেওয়ার কিছু দিন পর থেকে ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পেতেন।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এ ভাবে টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হত। পরে সেখান থেকেও টাকা তুলে নেওয়া হত। আবার ইচ্ছুকদের নথি দিয়েও প্রতারকেরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলত। ধৃতদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে মনে করা হচ্ছে, কয়েক হাজার মানুষকে অভিযুক্তেরা প্রতারিত করেছে। প্রায় তিন কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Baguiati Police Station Fake Call Centre CID
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE