Advertisement
২১ মে ২০২৪

নেতাজিনগরের ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দেহ উদ্ধারের প্রায় তিন দিন আগেই সোমনাথবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উত্তমাদেবীর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৬
Share: Save:

বৃদ্ধা মায়ের ছেলের দেহ আগলে রাখার ঘটনায় কিছুটা হলেও রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার রাতে নেতাজিনগরের রামগড়ে একটি বাড়ির দরজা ভেঙে সোমনাথ কুন্ডু (৩৯) নামে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ছেলের দেহের পাশেই শুয়ে ছিলেন অসুস্থ বৃদ্ধা উত্তমা কুন্ডু। তাঁকে পুলিশ শুক্রবার রাতেই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দেহ উদ্ধারের প্রায় তিন দিন আগেই সোমনাথবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উত্তমাদেবীর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে রামগড়ের একটি বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকতেন তিনি। ছেলে সোমনাথ কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজকর্ম করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমনাথ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমনাথের মৃত্যুর কারণ জানতে বৃদ্ধাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। প্রায় তিন দিন আগে ছেলের মৃত্যু ঘটলেও প্রতিবেশী কাউকে কিছু না জানিয়ে যে ভাবে ছেলের দেহ আগলে রেখেছিলেন, তাতে কিছুটা হলেও বছর চারেক আগের রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তদন্তকারীদের।

২০১৫ সালে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রবিনসন স্ট্রিটে দিদির দেহ ছ’মাস ধরে রেখে দিয়েছিলেন ভাই পার্থ দে। নেতাজিনগরের ঘটনার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, মৃত ছেলের দেহে পচন ধরলেও কাউকে ডাকার চেষ্টা করেননি বৃদ্ধা মা। এই সূত্রেই তাঁর মানসিক ব্যাধির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তমাদেবী যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেটি বেশ অগোছালো। যত্রতত্র কাপড়, ময়লা পড়ে রয়েছে। কম্পিউটারের একাধিক যন্ত্রাংশও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁর ছেলেও বহু দিন অসুস্থ ছিলেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘বৃদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে বেশ কিছু দিন চিকিৎসায় রাখতে হবে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Dead Body Robinson Street
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE