নিরাপত্তার স্বার্থে বহু বছর আগে কলকাতার সোনার দোকানগুলিতে আপৎকালীন অ্যালার্ম ব্যবস্থা চালু করেছিল কলকাতা পুলিশ। বোতাম টিপে ‘বিপদবার্তা’ পৌঁছে দেওয়া যেত লালবাজারে এবং স্থানীয় থানায়।
কিন্তু ক্রমশ গোটা ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। শহরের বড় কয়েকটি সোনার দোকান ছাড়া আর কোথাও এই ব্যবস্থা এখন চালু নেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি সোনারপুরের সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি ও খুনের ঘটনার পরে কলকাতায় সোনার দোকানগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে ফের একই প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিল পুলিশ। মঙ্গলবার বেহালা, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, সরশুনা এলাকার স্বর্ণব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ ওয়েস্ট) মিরাজ খালিদ ‘ওয়্যারলেস বার্গলারি অ্যালার্ম’ বসানোর উপরে জোর দেন।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিশাল গর্গ বলেন, ‘‘শহরের সমস্ত ডিভিশনের ডিসি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে এই বৈঠক করবেন। কলকাতা দক্ষিণ-পশ্চিম দিয়ে শুরু হল।’’ কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানান, সোনারপুরে ডাকাতির ঘটনা যেখানে ঘটেছে, তার লাগোয়াই ওই এলাকা। ওই এলাকাকে সবচেয়ে বেশি ডাকাতি প্রবণ বলে মনে
করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ডিভিশনে একশোটিরও বেশি সোনার দোকান রয়েছে। সেগুলিতে নিরাপত্তা যথেষ্ট নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। সোনারপুরে ডাকাতি ও খুনের ঘটনার পরে তাই প্রতিটি দোকানের বাইরে একাধিক প্রশিক্ষিত সশস্ত্র রক্ষী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। স্থানীয় থানার সঙ্গে ওই রক্ষীদের নিয়মিত যোগাযোগও রাখতে বলা হয়েছে।
‘ওয়্যারলেস বার্গলারি অ্যালার্ম’ যন্ত্রটি কী? অ্যালার্ম প্রস্তুতকারী সংস্থার এক কর্মী বলেন, যন্ত্রটি দোকানেই থাকে। যন্ত্রটির সঙ্গে পাঁচটি মোবাইল নম্বর যুক্ত রাখা যায়। বিপদ হলে দোকানে থাকা একাধিক ‘প্যানিক বটন’-এ চাপ দিলে পাঁচটি নম্বরে বিপদবার্তা পৌঁছে যায়। পাশাপাশি, দোকানের বাইরে থাকা সাইরেনও বেজে উঠবে। দোকান বন্ধ থাকার সময়ে অটোমেটিক বোতাম চালু থাকলে কেউ দোকানে ঢুকলে বা বিপদ ঘটলে পাঁচটি মোবাইল ফোনে খবর পৌঁছে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy