সকাল থেকে পুর চত্বরে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ। আর তার জেরেই পোলিয়ো কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ পুর কর্তৃপক্ষের। সোমবার, কামারহাটির ঘটনা।
কামারহাটি পুরসভার যে দরজা দিয়ে সমস্ত গাড়ি বের হয়, সেটি বন্ধ করে এ দিন ভোর ৬টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হাজার খানেক অস্থায়ী কর্মী। এর জেরে পুরসভার সাফাই এবং পোলিয়োর গাড়ি বেরোতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার দাবি, ‘‘সকাল থেকে গেট বন্ধ করে রাখায় পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পোলিয়োর টিকা পৌঁছনো যায়নি। পরে পিছনের রাস্তা দিয়ে রিকশা
করে পোলিয়োর টিকার বেশ কয়েকটি বাক্স বের করে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।’’ গোপালবাবু আরও জানান, বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় জঞ্জাল অপসারণের গাড়ি। ফলে পুর এলাকায় এ দিন বন্ধ থাকে সাফাইয়ের কাজও। ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান এ নিয়ে বলছেন, ‘‘শিশু ও নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করাটা অন্যায়। কারা এই কাজে মদত দিলেন, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।’’ এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বেলঘরিয়া থানার পুলিশ এবং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুরসভার গাড়ি বেরোতে না দেওয়া যে ‘ভুল’ হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তবে পোলিয়োর গাড়িও যে বেরোতে দেওয়া হয়নি, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে অস্থায়ী ভাবে কাজ করা সত্ত্বেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। উল্টে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পরিচিত এবং অন্য জেলার যুবকদের স্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা আরও জানাচ্ছেন, মাস খানেক আগে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল পুরসভা। কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী সেই পরীক্ষায় বসলেও তাঁদের একজনও পাশ করেননি।
যদিও পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পরীক্ষায় পাশ না করলেও ওই অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি থেকে সরানো হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ১২০০ জন অস্থায়ী কর্মীর সকলেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত। গোপালবাবু বলেন, ‘‘বছরে ৩১২ দিন ওঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে। মজুরিও বাড়িয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছে। এর পরে আরও কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচনবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। তবে এত দিন
ওঁরা যা যা সুযোগসুবিধা পেয়েছেন তা চালু থাকবে।’’
অন্য দিকে, টিটাগড় পুরসভাতেও এ দিন চাকরিতে স্থায়ী করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কর্মী। তার জেরেও পুর পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy