এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: অরুণ লোধ।
নেই নিকাশি ব্যবস্থা। অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা। কোথাও বাড়িতে ঢুকতে সাঁকো পেরতে হয়। কোথাও আবার মাঠের আলপথই ভরসা। এমনই পরিস্থিতি পুরসভার ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত অরবিন্দনগর, কল্যাণনগর (বর্মা কলোনি), রঞ্জননগর, নয়া বস্তি, নবপল্লির ২২ বিঘা, সোনার বাংলা এলাকার।
প্রায় তিন বছর আগে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে এই এলাকা। এই ওয়ার্ডেরই এক দিকে রয়েছে ডায়মন্ড পার্ক, সত্যেন পার্ক-সহ বেশ কিছু আবাসন। কিন্তু আবাসনের সীমানা ঘেঁষে ওয়ার্ডের ভিতরে যাতায়াতের জন্য রয়েছে রাস্তা কাঁচা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা হওয়ার পরে শুধু মূল রাস্তাগুলি ঢালাই করা হয়েছে। ভিতরের রাস্তাগুলির কোনও উন্নতিই হয়নি। এর মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা নবপল্লির ২২ বিঘা অঞ্চলের। এই অঞ্চলের ১২ ফুট এলাকার প্রায় একশ ভাগ বাড়ি জলাজমির উপরে। ওখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢুকতে গেলেই কোথাও ৫০ ফুট, কোথাও বা ১০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো পেরতে হয়।
নিকাশির অবস্থাও খারাপ। এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, এক নাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই এলাকা পুরো জলের তলায় চলে যায়। নিচু এলাকায় প্রায় কোমর সমান জল হয়। অরবিন্দনগর এবং কল্যাণনগরের পিছন দিকে, ২২ বিঘা, ১২ ফুট, ফাঁকা ডাঙ্গার মত জলা জায়গায় তখন নৌকা বা শালতি চলে। জল শুকোতে চার-পাঁচ মাস লেগে যায়। কারণ, জল বেরনোর কোনও রাস্তাই নেই। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে এলাকা থেকে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন রাজীব বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত আমল থেকেই কোনও পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা ছাড়া এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যার ফল ভুগছেন এখন এলাকাবাসী।’’
বাড়ি বাড়ি গঙ্গার পরিশোধিত জল সরবরাহের কাজ পাঁচ বছর আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। এক বাসিন্দা পিন্টু মজুমদার বলেন, ‘‘আর্সেনিক থাকা সত্ত্বেও গভীর নলকূপের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে। পুরনো অনেকগুলি নলকূপ খারাপ। তাই গরমে তীব্র জলকষ্ট শুরু হয়েছে।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ১৪১, ১৪২ এবং ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে তিন বছরে ২৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ বলেন, ‘‘সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার একটি বৈঠকে কেইআইপি-কে সংযোজিত জোকা এলাকার ম্যাপ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটা হয়ে গেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোথায় কোথায় কী ধরনের নর্দমা হবে। কোথায় গাড়ি ঢোকার রাস্তা হবে। এমনকী জলের ব্যাপারেও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প চূড়ান্ত হবে তখনই। যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকায় কাজ শুরু করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy