প্রতীকী ছবি।
শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে বলা ছিল, রোগীর শরীরে পেসমেকার বসানো রয়েছে। যা দেখে চমকে উঠেছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ। কারণ, তাঁর শরীরে কখনওই পেসমেকার বসেনি। তা হলে রিপোর্টে লেখা হল কী ভাবে? চিকিৎসকও বুঝতে পারেন, অন্য কারও রিপোর্ট ওই বৃদ্ধের নামে লেখা হয়েছে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেয় হাজরার বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
কিন্তু বিষয়টি জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন বেহালার বাসিন্দা শ্যামলকুমার রায়। তিনি জানিয়েছিলেন, শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাজরার ওই কেন্দ্রে ডাক্তার দেখানোর পরে সেখানেই ৬,৯০০ টাকা খরচ করে পরীক্ষা করান। কিন্তু রিপোর্টে এমন ভুল দেখে হকচকিয়ে যান। বুধবার মামলার শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা বড় ভুল। ওই চিকিৎসা কেন্দ্র ক্ষমা চাইলেও ৬,৯০০ টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১০ হাজার টাকা প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রোগীকে। তার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা পাবেন রোগী, বাকি টাকা জমা দিতে হবে কমিশনে।’’
অন্য দিকে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি কমিশনের কাছে অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাঁ হাতের একটি আঙুলে তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিল তাঁর। গত ১২ অক্টোবর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক চর্মরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনি সে দিনই বিকেল ৩টে নাগাদ সময় দেন। সেই মতো সওয়া ২টোয় পৌঁছে যান অভিজিৎবাবু। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হাসপাতাল তাঁকে জানায়, ওই চিকিৎসক ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আসবেন না। ওই দিন দুর্গাপুজো থাকায় অন্য চিকিৎসকেরও ব্যবস্থা করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে পরে রোগীকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেন। এ দিন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘হাসপাতালের কর্তব্যে যথেষ্ট খামতি রয়েছে। যে চিকিৎসক এলেন না, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ নেননি। রোগীকে অন্য চিকিৎসক দেখানোর ব্যবস্থাও করেননি। তাই হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy