Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

সম্পত্তিকরের হিসেব সরল করার ভাবনা

২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে নতুন ওই কর ব্যবস্থা চালু হলেও এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৭ লক্ষ করদাতার মধ্যে মাত্র ৮-৯ শতাংশ করদাতা এলাকা ভিত্তিক করের জন্য আবেদন করেছেন। ফলে কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি করও অন্য বছরের তুলনায় কমার আশঙ্কা করছেন পুরকর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩০
Share: Save:

এলাকা ভিত্তিক কর (ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট) আদায়ে শহরের করদাতাদের উৎসাহ জোগাতে পুর প্রশাসন যে ব্যর্থ, তা মেনে নিচ্ছেন পুর প্রশাসকেরাই। আর নতুন পদ্ধতি জটিল হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন খোদ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে নতুন ওই কর ব্যবস্থা চালু হলেও এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৭ লক্ষ করদাতার মধ্যে মাত্র ৮-৯ শতাংশ করদাতা এলাকা ভিত্তিক করের জন্য আবেদন করেছেন। ফলে কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি করও অন্য বছরের তুলনায় কমার আশঙ্কা করছেন পুরকর্তারা।

কেন এই অনীহা? এ ব্যাপারে একাধিক করদাতার বক্তব্য, নতুন পদ্ধতিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। পুরসভা থেকে বলা হয়েছে, নতুন কাঠামোয় কর যতটাই বাড়ুক, নেওয়া হবে বতর্মান করের উপর মাত্র ২০ শতাংশ বেশি। আইনের ভাষায় যাকে ‘ক্যাপ ইন’ বলা হয়েছে। যাদের কর কমছে তাঁদের ক্ষেত্রেও ক্যাপ ইন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে। কিন্তু এই ক্যাপ ইন কেবল প্রথম বছরের জন্য, না এখন চলবে? তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে করদাতাদের। সোমবার অবশ্য শোভনবাবু বলেন, ‘‘আইনের মধ্যেই ক্যাপ ইন রয়েছে। তাই এই আইন যত দিন বলবৎ থাকবে, ওই সুবিধাও তত দিন থাকবে।’’

এ দিন পুরসভার অধিবেশনে কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, আগের পদ্ধতিতে যে পরিমাণ কর আদায় হত, এলাকা ভিত্তিক কর চালু হওয়ায় তা হচ্ছে না। কর আদায় মার খাচ্ছে। জবাব দিতে গিয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করে নেন এলাকা ভিত্তিক কর ব্যবস্থার পদ্ধতি খুব জটিল হয়ে গিয়েছে। তা আরও সরল করতে হবে। দফতরকে তা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE